—ফাইল চিত্র।
কুষ্টিয়ায় শেখ মুজিবুর রহমান-এর মূর্তি মৌলবাদীরা ভেঙে দেওয়ার পরে বাংলাদেশের সর্বত্র তাঁর যে সব মূর্তি ও মুরাল আছে, তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে নির্দেশ দিল ঢাকা হাইকোর্ট। এই কাজে সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, এক মাস পরে ক্যাবিনেট সচিবকে সে বিষয়ে রিপোর্ট দিতে বলেছে আদালত। একই সঙ্গে মুজিবের জন্ম শতবর্ষে যে সব মূর্তি বা ভাস্কর্য নির্মাণের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনা সরকার নিয়েছে, চলতি বছরের মধ্যে তা শেষ করার নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ। সোমবারই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটান আদালত শেখ মুজিবের মূর্তি ধ্বংসের ডাক দেওয়া তিন মৌলবাদী নেতার বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা গ্রহণ করে পুলিশ বুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে তা তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছে।
শেখ মুজিবের মূর্তি ধ্বংসের ডাক দেওয়া ও তা নিয়ে আন্দোলন শুরুর পরে তিন সপ্তাহ কেটে গেলেও সরকারের তরফে সুনির্দিষ্ট কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে খুন হওয়া মধুর ক্যান্টিনের মালিক মধুসূদন দের মূর্তিটি কিছু দুষ্কৃতী ভাঙচুর করার পরে প্রশাসন চুপচাপ তা সরিয়ে দেয়। তার পরে শুক্রবার শেষ রাতে কুষ্টিয়ায় উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা শেখ মুজিবের মূর্তিটি ভাঙচুর করে দুই মাদ্রাসা ছাত্র। এর পরে দেশের নানা জায়গায় থাকা মুজিবের মূর্তি ও ভাস্কর্যের নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন এক আইনজীবী। সেই মামলাতেই এ দিন হাইকোর্ট এ বিষয়ে সরকারকে দায়িত্ব দিল। সরকার যাতে মৌলবাদীদের হুমকির মুখে ‘মুক্তিযুদ্ধের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের’ ভাস্কর্য বা মূর্তি নির্মাণের সঙ্কল্প থেকে পিছিয়ে না যায়, সে জন্য তাঁর জন্মশতবর্ষের মধ্যেই কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা।
আরও পড়ুন: জরুরি ভিত্তিতে টিকা ব্যবহারের আবেদন জানাল ভারত বায়োটেক
আরও খবর: দু’পয়সার প্রেস! ‘সঠিক’ বক্তব্যের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী সাংসদ মহুয়া মৈত্র
শেখ মুজিবের মূর্তি ভাঙার ডাক দেওয়ায় তিন মৌলবাদী নেতা জুনায়েদ বাবুনগরী, মোহাম্মদ মামুনুল হক এবং সৈয়দ ফজলুল করিমের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটান আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেছেন দু’জন। বিচারক এই মামলা গ্রহণ করে তিন মৌলবাদী নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত ভার দিয়েছেন পিবিআই-কে। এক মাসের মধ্যে এই তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।