পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলন প্যালেস্টিনীয় মহিলার। ছবি: রয়টার্স।
ইজ়রায়েলের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার পরেও তিনি খুশি হতে পারছেন না। ইজ়রায়েলের জেল থেকে আট বছর পর ছাড়া পেয়ে সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন প্যালেস্টিনীয় মহিলা ইসরা জাবিস। তাঁর কথায়, “আজ ইজ়রায়েলি হানায় ক্ষতবিক্ষত গোটা প্যালেস্টাইন। তাই মুক্তি পেয়েও খুশি হতে পারছি না। আমার মতোই বাকিরা মুক্তি পাক, সেটাই চাই।”
চার দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া চলছে ইজ়রায়েল এবং হামাসের মধ্যে। শুক্রবার থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় যে ৩৯ জন প্যালেস্টিনীয় বন্দিদের মুক্তি দিয়েছে ইজ়রায়েল, সেই দলে ছিলেন বছর সাইত্রিশের জাবিস। পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলন হলেও আত্মহারা হননি। দীর্ঘ আট বছর ইজ়রায়েলের জেলে কাটিয়েছেন জাবিস। ১১ বছরের জন্য তাঁকে সাজা দিয়েছিল ইজ়রায়েল।
ইজ়রায়েলের দাবি, তাদের পুলিশকর্মীদের খুন করার চেষ্টা করেছিলেন জাবিস। সে দেশের নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেট দাবি করেছে, গাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে যাচ্ছিলেন জাবিস। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকর্মীরা তাঁর গাড়ি আটকান। তখনই সেই সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হামলার চেষ্টা করেন জাবিস। সেই ঘটনায় এক পুলিশকর্মী আহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনায় জাবিসকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার পর থেকেই আট বছর ধরে জেলে বন্দি ছিলেন তিনি।
সমঝোতার পর শুক্রবার থেকে দু’পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। চলছে বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়াও। মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার, মিশর এবং আমেরিকার তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ১৩ ইজ়রায়েলি-সহ ২৪ জন পণবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তার পরিবর্তে ৩৩ শিশু এবং ছয় মহিলা-সহ ৩৯ জন প্যালেস্টিনীয়কে মুক্তি দিয়েছে ইজ়রায়েল। শনিবার ১৩ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। অন্য দিকে, ইজ়রায়েল মুক্তি দিয়েছে ৪২ জন প্যালেস্টিনীয়কে।