Donald Trump

ক্যাপিটলে হামলার পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব ডেমোক্র্যাটদের

পেন্স সক্রিয় না হলে আগামী বুধবার কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষ হাউস অব রিপ্রেসেন্টেটিভ-এ ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু করা হতে পারে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২১ ০০:৩৯
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

ক্যাপিটল ভবনে হামলায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পেশ করল ডেমোক্র্যাট সদস্যরা। সোমবার চার পাতার ওই প্রস্তাবটি আমেরিকার কংগ্রেসে পেশ করেছেন তাঁরা। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আমেরিকার সরকারের বিরুদ্ধে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

Advertisement

আমেরিকার কংগ্রেসে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব নিয়ে একটি নয়, দু’টি প্রস্তাব জমা পড়েছে। ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের মেয়াদ শেষেই আগে যাতে তাঁকে হঠানো যায়, তার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছেন ডেমোক্র্যাট সেনেটররা। প্রথমত, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সংবিধানের ২৫তম সংশোধনীর আওতায় ক্যাবিনেটের কাছে যাতে এই প্রস্তাব তোলেন এবং ভোটাভুটির মাধ্যমে ট্রাম্পকে সরাতে উদ্যোগী হন, তার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। যদিও ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রাম্পকে সরাতে উদ্যোগী হবেন না পেন্স। ইতিমধ্যে এই প্রক্রিয়ায় বাধা দিয়েছেন ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার এক রিপাবলিকান সেনেটর। সে ক্ষেত্রে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব নিয়ে মঙ্গলবার ভোটাভুটি হতে পারে। তবে ওই ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিতে হতে হবে।

দ্বিতীয়ত, পেন্স সক্রিয় না হলে আগামী বুধবার কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষ হাউস অব রিপ্রেসেন্টেটিভ-এ ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু করা হতে পারে। ডেমোক্র্যাট সেনেটরদের দাবি, মেয়াদ শেষের আগেই ইমপিচমেন্টের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ট্রাম্পকে সরানোর জন্য যথেষ্ট সংখ্যক সেনেটরের সর্মথন রয়েছে তাঁদের কাছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধে বড় ভূমিকা নেন এই ভারতীয়

আরও পড়ুন: করোনার উৎস কী, অবশেষে হু-কে তদন্তের অনুমতি দিল চিন

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বার ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাশ হলে এ বিষয়ে কংগ্রেসে শুনানি শুরু হবে। রাজনৈতিক কারণে তাঁকে দায়ী করা যায় কি না, শুনানিতে তা নিয়েই আলোচনা চলবে। যদিও ডেমোক্র্যাটরা জানিয়েছেন, অবিলম্বে ওই শুনানি শুরু না-ও করা হতে পারে। কারণ, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম মাসে অর্থনৈতিক ত্রাণের সাহায্য করোনার মতো অতিমারিতে ধ্বস্ত আমেরিকার অর্থনীতি কী ভাবে চাঙ্গা করা যায়, তা নিয়ে আলোচনাই অগ্রাধিকার পাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement