আলেক্সেই নাভালনি।
ক্রমশ জোরদার হচ্ছে রাশিয়ার বিরোধী নেতা আলেক্সেই নাভালনির মুক্তির দাবি। তবে পশ্চিমি দুনিয়ার এই দাবিখারিজ করে দিয়েছে ক্রেমলিন।
অগস্টে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক নাভালনি। অভিযোগ ওঠে, বিষপ্রয়োগ করে তাঁকে খুনের চেষ্টা করে পুতিন প্রশাসন। বার্লিনে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছিল নাভালনির। কোমাতে চলে তিনি। রবিবার বার্লিন থেকে মস্কো নামামাত্রইরুশ পুলিশ গ্রেফতার করে তাঁকে। সোমবার ৩০ দিনের জন্য নাভালনিকে জেলে পাঠিয়েছে আদালত।
পুতিন-বিরোধী এই নেতার গ্রেফতারির তীব্র বিরোধিতা করে অবিলম্বে তাঁকে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স এবং কানাডা। তবে এ দিন পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেছেন, ‘‘এই ধরনের দাবিকে আমরা পাত্তা দিতে রাজি নয়। এটা আমাদের পুরোপুরি অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এই ব্যাপারে কারও নাক গলানো আমরা মেনে নেব না।’’ পেশকভ আরও জানান, শুনানি চলাকালীন তাঁর অনুগামীদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের ডাক দিয়েছেন নাভানলি। বিষয়টি নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে পেশকভ বলেন, ‘‘এই ধরনের বিক্ষোভ-প্রতিরোধের ডাক খুবই সমস্যার।’’ তবে কি এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভকে ক্রেমলিন ভয় পাচ্ছে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে পেশকভের স্পষ্ট জবাব, ‘‘একেবারেই নয়।’’
এরই মধ্যে পুতিনের দলীয় কার্যালয়ের জানলা ভাঙার অপরাধে সোমবার এক গণিতজ্ঞকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে রাশিয়ার এক আদালত। আজ়ট মিফতাকোভ নামে ওই গণিতজ্ঞের মুক্তির দাবিতেও ছড়িয়েছে বিক্ষোভ। মিফতাকোভর আইনজীবী সোয়েটলানা সিদোরকিনা জানিয়েছেন, ‘গুন্ডামির’ অপরাধে গণিতজ্ঞকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানানো হবে। সিদোরকিনা বলেন, ‘‘আদালতের এ রায়ের সঙ্গে আমরা সহমত নই।’’ নাভালনির মতো মিফতাকোভকেও অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি উঠেছে।