International News

দিল্লি নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন সেনেটরেরাও

শুধু মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা নন, দিল্লির হিংসা নিয়ে সরব হয়েছে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৫১
Share:

ছবি: পিটিআই।

উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষের খবরে রীতিমতো চিন্তিত মার্কিন সেনেটরেরা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সদ্য ভারত সফর সেরে ফিরেছেন দেশে।

Advertisement

এর মধ্যেই প্রমীলা জয়পালের মতো ভারতীয় বংশোদ্ভূত সেনেটর আজ বলেছেন, ‘‘ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ভয়ঙ্কর জায়গায় যাচ্ছে।’’ টুইটে তাঁর দাবি, ‘‘গোটা বিশ্ব সব দেখছে।’’ গত বছর জম্মু ও কাশ্মীরে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য সওয়াল করে মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাব পেশ করেছিলেন প্রমীলা।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই সেনেটরের মতো কংগ্রেস সদস্য অ্যালান লোয়েনথালও বলেছেন, ‘‘নৈতিক নেতৃত্বের চরম ব্যর্থতা। ভারতে মানবাধিকার বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, তাই আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে।’’ একই ভাবে দিল্লির হিংসা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এলিজ়াবেথ ওয়ারেন। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মূল্যবোধ, ধর্মীয় স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে আমরা যেন সত্যি কথাটা বলতে পারি। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদীদের উপরে চড়াও হওয়া কখনওই মেনে নেওয়া যায় না।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: রাজধানী যখন জ্বলছে, পুলিশ তখন আব্বুলিশ!

তরুণ কংগ্রেস সদস্য রশিদা তালিব টুইটে লিখেছেন, ‘‘এই সপ্তাহে ট্রাম্প ভারতে ঘুরে এলেন। দিল্লিতে মুসলিমদের উপরে যে হিংসা চালানো হচ্ছে, সেটাই কিন্তু আসল খবর। ভারত জুড়ে মুসলিম-বিরোধী হিংসা চলছে, তা নিয়ে আমরা চুপ থাকতে পারছি না।’’

শুধু কংগ্রেস সদস্যরা নন, দিল্লির হিংসা নিয়ে সরব হয়েছে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমও। একটি দৈনিক লিখেছে, ‘‘বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে।’’ অন্য একটি দৈনিক লিখছে, ‘‘প্রেসিডেন্ট ঘুরে ভারত ঘুরে এলেন। ওখানে একের পরে এক প্রাণহানি হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন এলোমেলো হয়ে গিয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement