ভ্লাদিমির পুতিন। ফাইল চিত্র।
ইউক্রেনে রাশিয়া যে কোনও দিন হামলা চালাতে পারে, এই আশঙ্কায় গোটা বিশ্ব ভুগছে হত কয়েক সপ্তাহ ধরে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ক্রমেই সুর চড়াচ্ছে আমেরিকা। মস্কোর এই ভূমিকার কড়া সমালোচনা করছে ব্রিটেন-সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশও। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। উদ্দেশ্য, আলোচনার মাধ্যমে যদি রাশিয়াকে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সরে আসতে রাজি করানো যায়।
রাশিয়ার পাল্টা দাবি, আগ্রাসনের কোনও প্রশ্নই নেই। এটি তাদের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’। নিরাপত্তা পরিষদের এই নিয়ে কোনও বৈঠক করার কোনও প্রয়োজন নেই, মস্কো এই মর্মে রাষ্ট্রপুঞ্জে একটি প্রস্তাব এনেছিল। আমেরিকা-সহ ১০টি রাষ্ট্র সেই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। রাশিয়া ছাড়া আর একটি মাত্র দেশই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে— চিন। আর ভারত, গেবন ও কেনিয়া ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে।
‘পাশে থাকার জন্য’ ভারত-সহ চারটি দেশকে আজ ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে রুশ প্রতিনিধি দিমিত্রি পোলিয়ানস্কি। ওয়াশিংটনকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকার কূটনীতিক ক্ষমতা একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। গায়ের জোরে কি আর সব কিছু হয়!’’
অন্তত ন’টি বিরুদ্ধ-ভোট পড়লেই মস্কোর প্রস্তাব বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা। যে-হেতু মস্কোর প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ১০টি রাষ্ট্র ভোট দিয়েছে, তাই নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেন নিয়ে আলোচনায় কোনও বাধা রইল না।
আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হোক, এখনও চাইছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে একই সঙ্গে তিনি সোমবার বলেন, ‘‘আমরা য়ে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত।’’