ইরানি হানার পর থেকেই ইজ়রায়েলের পাল্টা হামলা নিয়ে চাপানউতোর চলছে। —ফাইল চিত্র।
একটি আকাশহানায় কার্যত ধ্বংস হয়ে গেল প্যালেস্টাইনের ভবিষ্যৎ— গত ডিসেম্বরে গাজ়ার বৃহত্তম আল বাসমা আইভিএফ সেন্টারে যখন গোলা এসে পড়ে, তখন সেখানে ছিল প্রায় ৪০০০টি ভ্রূণ। সঞ্চিত ছিল প্রায় ১০০০ শুক্রাণু ও অনিষিক্ত ডিম্বাণুও।
মানবাধিকার কর্মী ও রাষ্ট্রপুঞ্জের মতে, যে কোনও যুদ্ধের মতো হামাস ও ইজ়রায়েলের সংঘাত আক্ষরিক অর্থে ‘উলুখাগড়া’র প্রাণ নিয়েছে সাড়ে ছয় মাস ধরে। “বহু প্যালেস্টাইনি দম্পতির সমস্ত আশা-ভরসা চুরমার হয়ে গিয়েছে। তাঁদের প্রায় অর্ধেকের বেশি আর কোনও দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।” আক্ষেপের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে জানাচ্ছিলেন বাহালাদিন গালিয়ানি। ১৯৯৭ সালে ওই ক্লিনিকটি শুরু করেছিলেন তিনি।
আর এখন ইরান-ইজ়রায়েল তরজায় মধ্য এশিয়ায় ফের ঘনিয়ে উঠছে যুদ্ধের কালো মেঘ! অব্যাহত ছায়াযুদ্ধও। বুধবারই উত্তর ইজ়রায়েলের বেদুইন গ্রামে আকাশ হানা চালিয়েছে হিজ়বু্ল্লা। প্রাণ গিয়েছে অন্তত ১৪ জনের। তার মধ্যেই বুধবার ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন জানান, ইজ়রায়েল প্রত্যাঘাত করবেই।
গত শনিবারের ইরানি হানার পর থেকেই ইজ়রায়েলের পাল্টা হামলা নিয়ে চাপানউতোর চলছে। বুধবার ইজ়রায়েল সফরে এসেছেন ডেভিড। এসেছেন জার্মানির বিদেশমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবকও। তাঁদের নেতানিয়াহু জানান, ইজ়রায়েল আত্মরক্ষার কথা ভাবছে। সুতরাং পাল্টা আঘাত হবেই। নেতানিয়াহুকে সমর্থন করেছেন আনালেনা। অর্থাৎ, এ বার সরাসরি সংঘাতে নামতে চলেছে দুই দেশ। এখনও পর্যন্ত ইঙ্গিত সেরকমই।
ইরানের বার্ষিক সেনা সম্মেলনে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি পাল্টা দাবি করেন— ইজ়রায়েল হামলা করলে তার প্রত্যাঘাত হবে অত্যন্ত ভয়ানক। যদিও আমেরিকা-সহ বিশ্বের অন্য দেশগুলি ইজ়রায়েলকে হামলা না করার অনুরোধই করে আসছে বরাবর। ক্রেমলিনও জানিয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত মিটিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। তবে এর পাশাপাশি, ইরানের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো যায় কি না এই নিয়ে বুধবারই বৈঠকে বসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি।