ড্যানিয়েল এলসবার্গ। —ফাইল চিত্র।
ভিয়েতনাম যুদ্ধ সংক্রান্ত পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁস করেছিলেন তিনি। সে জন্য পড়তে হয়েছিল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগের মুখে। তকমা পেয়েছিলেন, ‘আমেরিকার সব থেকে বিপজ্জনক ব্যক্তি’র। ৯২ বছর বয়সে মৃত্যু হল সেই ‘হুইসলব্লোয়ার’ ড্যানিয়েল এলসবার্গের। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে ভুগছিলেন প্রাক্তন এই কূটনীতিক। ক্যালিফোর্নিয়ারকেনসিংটনের বাড়িতেই মারা যান।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়ে হোয়াইট হাউসে পরমাণু অস্ত্র কৌশল সংক্রান্ত পরামর্শদাতা ছিলেন এলসবার্গ। ভিয়েতনাম যুদ্ধ সংক্রান্ত গোপন তথ্য জানতে পেরে তিনি মনে করেছিলেন, আসল তথ্য দেশবাসী জানলে রাজনৈতিক চাপে যুদ্ধ বন্ধ হতে পারে। সেই ভাবনা থেকেই আমেরিকার একটি প্রথম সারির দৈনিকের সাংবাদিকের হাতে তিনি সব গোপন নথি-পত্র তুলে দেন। যার ভিত্তিতে ১৯৭১ সালে প্রকাশিত হয় সেই বিস্ফোরক ‘পেন্টাগন পেপারস’। পরে আর একটি সংবাদপত্রও সেই নথি হাতে পায় ও প্রকাশ করে। আমেরিকান সংবাদপত্র দু’টিতে এই প্রতিবেদনের প্রকাশ রুখতে আসরে নেমেছিল প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের প্রশাসন। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। ড্যানিয়েলের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ শেষ পর্যন্ত খারিজ হয়।
ড্যানিয়েলের এই তথ্য ফাঁসের কাহিনি নির্ভর করে কয়েক বছর আগে তৈরি হয়েছিল হলিউডের ছবি‘দ্য পোস্ট’।