গুরপতবন্ত পন্নুন। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকার মাটিতে খলিস্তানি জঙ্গি গুরপতবন্ত পন্নুনকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে জেলবন্দি নিখিল গুপ্তকে আমেরিকায় প্রত্যর্পণ করা যেতে পারে জানাল চেক প্রজাতন্ত্রের এক আদালত।
নিখিলকে গত বছরের ৩০ জুন প্রাগে গ্রেফতার করে চেক প্রশাসন। তিনি বর্তমানে প্রাগের পানকাস জেলে রয়েছেন। চেক প্রজাতন্ত্রের নিম্ন আদালত গত ডিসেম্বরে নিখিলকে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন জানান নিখিল। তিনি জানিয়েছিলেন, ভুল করে তাঁকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমেরিকা যাকে খুঁজছে, তিনি সেই ব্যক্তি নন। এই বিষয়টিকে রাজনৈতিক বলেও উল্লেখ করেন। সেই যুক্তি অবশ্য খারিজ করেছে আদালত।
তবে আদালতের নির্দেশের পরেই এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রাগ হাই কোর্টের মুখপাত্র এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পরে চেক প্রজাতন্ত্রের আইন মন্ত্রকের মুখপাত্র ভ্লাদিমির রেপকা আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিষয়ে মুখ খোলেন। তিনি জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ সব পক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য আইন মন্ত্রককে জমা দেওয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত নিখিলকে প্রত্যর্পণ করা হবে কি না, তা ঠিক করবেন আইনমন্ত্রী পাভেল ব্লাজ়েক।
এর পাশাপাশি আইন মন্ত্রকের মুখপাত্র রেপকা জানান, হাই কোর্টের নির্দেশ নিয়ে আইনমন্ত্রীর যদি কোনও সংশয় থাকে, সে ক্ষেত্রে তিন মাসের মধ্যে এ বিষয়ে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাতে পারেন সুপ্রিম কোর্টে। তবে আইনমন্ত্রী কী করবেন কিংবা কবে করবেন তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে প্রত্যর্পণ আটকাতে নিখিল সব রকম পদক্ষেপ করবেন বলে অনুমান চেক প্রশাসনের।
স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমে খবর, নিখিলের আইনজীবী জানিয়েছেন, আইনমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হবে যাতে তাঁর মক্কেলকে আমেরিকার হাতে তুলে দেওয়া না হয়। বিষয়টি সাংবিধানিক আদালতে বিচারের জন্যও আবেদন জানানো হবে। এর আগে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছিলেন নিখিলের আইনজীবী। আদালতে যে নথি পেশ করা হয়, তাতে দেখা গিয়েছে, ২০১৭ সালে শেষ বার আমেরিকায় গিয়েছিলেন নিখিল।
আমেরিকান তদন্তকারীদের অভিযোগ, ভারতই নিখিলকে নিয়োগ করেছিল। তাঁকে আর্থিক মদত দেওয়া হত। যদিও হাই কোর্ট সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে। নিখিল বিষয়টিকে রাজনৈতিক বললেও বিচারপতি ভ্লাদিমির ক্রাল জানান, একে রাজনৈতিক মামলা হিসাবে দেখা যায় না।