ছবি টুইটার থেকে
পর্দা টাঙিয়ে দু’ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে ক্লাসঘর। এক পাশে মহিলারা বসেছেন। আর অন্য পাশে পুরুষেরা। কাবুলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ক্লাসঘরের ছবি সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজের সাংবাদিক তামিম হামিদ ওই ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন।
গত ১৫ অগস্ট কাবুল দখলের পরই তালিবান নেতৃত্ব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, স্কুল, কলেজে ছেলেমেয়েরা একসঙ্গে পড়াশোনা করতে পারবেন না। তবে মেয়েদের স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকবে না। আফগানিস্তানে এখনও তালিবান সরকার গঠন না হলেও বর্তমানে সে দেশের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষামন্ত্রী কিছু দিন আগেই কাবুল কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, শরিয়তি আইন মেনে পড়াশোনা হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে।
সদ্য ভাইরাল হওয়া ছবি থেকেই বোঝা যাচ্ছে, যুবক যুবতীরা যাতে পাশাপাশি বসে লেখাপড়া না করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেই ক্লাসঘরকে দু’ভাগে ভাগ করার এই নতুন ব্যবস্থা চালু হয়েছে আফগানিস্তানে। শুধু তাই নয়, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কলেজ ছুটির সময়েও মিনিট পাঁচেক আগে ক্লাসঘর ছাড়তে বলা হয়েছে মেয়েদের, যাতে কলেজ চত্বরেও ছেলেদের সঙ্গে তাঁরা মেলামেশা করতে না পারেন।
কাবুল দখলের পরই হেরাট প্রদেশে ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে লেখাপড়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন স্থানীয় তালিবান নেতৃত্ব। সেই ব্যবস্থাই এ বার গোটা দেশে চালু হতে চলেছে বলে আশঙ্কা সে দেশের শিক্ষামহলের।