নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন কিউবার পর্যটনমন্ত্রী ম্যানুয়েল মারেরো ক্রুজ়। ছবি:পিটিআই
৪৩ বছর পরে ফের প্রধানমন্ত্রী পেল কিউবা। নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন কিউবার পর্যটনমন্ত্রী ম্যানুয়েল মারেরো ক্রুজ়। শনিবার তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেন কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ়-ক্যানেল।
১৯৫৯ সালে বিপ্লবের মাধ্যমে ‘আমেরিকার পুতুল’ বাতিস্তা সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলের পরে কিউবার প্রধানমন্ত্রী হন ফিদেল কাস্ত্রো। ১৯৭৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদটি বাতিল করে দেন তিনি। কিন্তু চলতি বছরেই এই কমিউনিস্ট দেশটিতে নতুন সংবিধান পাশ হয়েছে। সেই সংবিধান অনুসারেই কিউবায় ফিরিয়ে আনা হল প্রধানমন্ত্রীর পদটি। বর্তমানে প্রেসিডেন্ট মিগুয়েলকে বেশ কিছু বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। সেগুলির মধ্যে কিছু কাজের দায়িত্ব এ বার নতুন প্রধানমন্ত্রী ৫৬ বছরের ম্যানুয়েল পালন করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। কিউবার সরকারি সংবাদমাধ্যম বলেছে, ‘‘সরকারের প্রধান হবেন প্রেসিডেন্টের প্রশাসনিক ডান হাত।’’
তবে কিউবার এই প্রধানমন্ত্রীর পদটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ সমালোচকেরা। তাঁদের মতে এটি একটি নামমাত্র পরিবর্তন। কারণ কিউবায় সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী কমিউনিস্ট পার্টি এবং সেনাবাহিনী। সেই অর্থে প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েলের হাতে তেমন কোনও ক্ষমতা নেই।
গত কাল কিউবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সর্বসম্মতি ক্রমে ম্যানুয়েলের নাম অনুমোদন করা হয়। কিউবার সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশের পর্যটন শিল্প থেকেই রাজনৈতিক নেতা হিসেবে উত্থান ম্যানুয়েলের। পর্যটনই হল কিউবার বিদেশি মুদ্রা আয়ের অন্যতম উৎস। ২০০০ সালে সেনাবাহিনী পরিচালিত গাভিয়োটা পর্যটন সংস্থার প্রেসিডেন্ট করা হয় ম্যানুয়েলকে। ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে গাভিয়োটার হোটেলগুলির উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপায় আমেরিকা। ২০০৪ সালে ম্যানুয়েলকে দেশের পর্যটনমন্ত্রী করেন ফিদেল। আর এ বার তিনি কিউবার প্রধানমন্ত্রী। যাঁর সম্পর্কে প্রশংসা ঝরে পড়েছে প্রেসিডেন্ট মিগুয়েলের গলায়। তাঁর কথায়, ‘‘ম্যানুয়েলের সবচেয়ে বড় গুণ সততা, কাজ করার ক্ষমতা এবং কমিউনিস্ট পার্টি ও বিপ্লবের প্রতি আনুগত্য।’’