জার্মান বিদেশমন্ত্রীকে চুম্বন করে বিতর্কে জড়ালেন ক্রোয়েশিয়ার বিদেশমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বৈঠকে জার্মান বিদেশমন্ত্রী আন্নালেনা বায়েরবককে চুম্বন করে বিতর্কে জড়ালেন ক্রোয়েশিয়ার বিদেশমন্ত্রী গর্ডন রাডম্যান। বিতর্কের মুখে অবশ্য ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন তিনি। ‘পলিটিকো’র একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)-এর বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের একটি বৈঠক শেষ হওয়ার পর সকলে যখন ছবি তোলার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন, সেই সময় বায়েরবককে চুম্বন করেন ক্রোয়েশিয়ার বিদেশমন্ত্রী। এই ঘটনার একটি ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।
ক্রোয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গোটা বিতর্কে লজ্জিত রাডম্যান। বিষয়টিকে ‘অস্বস্তিজনক মুহূর্ত’ বলেও ব্যাখ্যা করেন তিনি। তাঁর যে কোনও অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না, তা ব্যাখ্যা করে ক্রোয়েশিয়ার বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমরা মন্ত্রীরা সর্বদাই একে অপরকে অভ্যর্থনা জানাই। যদি কেউ এর মধ্যে খারাপ কিছু দেখে থাকেন, তবে ক্ষমা চেয়ে নেওয়াই উচিত।” ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলির মধ্যে সুসম্পর্কের দিকটি তুলে ধরতে রাডম্যানের সংযোজন, “আমরা প্রতিবেশী। খুব ভাল একটা বৈঠক হয় আমাদের মধ্যে। হয়তো বৈঠকটা একটু অদ্ভুতভাবে শেষ হল।”
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন দেশের বিদেশমন্ত্রীরা যখন পর পর দাঁড়িয়ে রয়েছেন, সেই সময় হঠাৎই জার্মান বিদেশমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে চুম্বন করেন ক্রোয়েশিয়ার বিদেশমন্ত্রী। ঘটনার আকস্মিকতায় মাথা নীচে নামিয়ে নেন জার্মান মন্ত্রী। পরে তাঁকে হাসতেও দেখা যায়। এই বিষয়ে জার্মান মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আজ আমরা চুম্বন নিয়ে কথা বলতে আসিনি।” ক্রোয়েশিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাডরাঙ্কা কসোর অবশ্য রাডম্যানের সমালোচনা করে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখেন, “জোর করে মহিলাকে চুম্বন করাও কিন্তু অপরাধ, নয় কি?”
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই বিশ্বকাপজয়ী স্পেনীয় মহিলা ফুটবলার জেনি হারমোসোকে চুম্বন করার দায়ে তিন বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয় সে দেশেরই ফুটবল কর্তা লুইস রুবিয়ালেসকে। স্পেন বিশ্বকাপ জেতার পরে দলের সব ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফদের প্রকাশ্যে চুম্বন করেছিলেন রুবিয়ালেস। ফুটবলার হারমোসো অভিযোগ করেন, জোর করে তাঁর ঠোঁটে চুমু খেয়েছিলেন রুবিয়ালেস। প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। এই ঘটনার পরে রুবিয়ালেসের সমালোচনা শুরু হয়েছিল। তাঁকে সাসপেন্ড করেছিল ফিফা। এর পর ইস্তফা দেন রুবিয়ালেস।