ফাইল চিত্র।
আমেরিকান টিকাপ্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজ়ার এবং তার জার্মান সহযোগী বায়োএনটেক এ বার দাবি করল, তুলনামূলক গরম তাপমাত্রাতে ভাল থাকবে তাদের প্রতিষেধকও।
গোড়ায় তারা জানিয়েছিল, ভ্যাকসিন সংরক্ষণে মেরুপ্রদেশীয় ঠান্ডা প্রয়োজন। সেই অনুযায়ী গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছিল। এত দিন মাইনাস ৬০ থেকে মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মজুত রাখা হচ্ছিল ভ্যাকসিন। কিন্তু এই কারণে ফাইজ়ারের ভ্যাকসিন ক্রয় থেকে পিছিয়ে গিয়েছে গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলি।
পুরনো নির্দেশিকা সংশোধন করে ফাইজ়ার সম্প্রতি ‘ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফডিএ)-কে জানিয়েছে, মাইনাস ২৫ থেকে মাইনাস ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত ভাল থাকবে ভ্যাকসিন। অর্থাৎ সাধারণ ফার্মাসিউটিক্যাল ফ্রিজার ও রেফ্রিজারেটরেই ভাল থাকবে প্রতিষেধকটি। ফাইজ়ারের সিইও অ্যালবার্ট বোরলার কথায়, ‘‘আমাদের আবেদন যদি ছাড়পত্র পায়, টিকাকরণ কেন্দ্রগুলোর ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও সরবরাহ পদ্ধতি সহজ হয়ে যাবে।’’
আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আজ ফাইজ়ার-এর কারখানা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। জানিয়েছেন, গরম আসার মধ্যেই যথেষ্ট ভ্যাকসিন মজুত করে ফেলা হবে। সংস্থার সিইও বোরলা-ও জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে সপ্তাহে ৫০ লক্ষ ডোজ় সরবরাহ করা হচ্ছে। চেষ্টা করা হচ্ছে পরিমাণটা দ্বিগুণেরও বেশি করা।
২ কোটি ৮৬ লক্ষ সংক্রমণ। ৫ লাখের উপরে মৃত্যু। করোনা সংক্রমণে সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আমেরিকা। নয়া নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পরেই প্রতিশ্রুতি দেন, প্রথম ১০০ দিনে ১ হাজার লক্ষ টিকাকরণ সম্পূর্ণ করবেন। আজ তিনি জানান, লক্ষ্যপূরণের বিষয়ে তিনি নিশ্চিত। তবে একই সঙ্গে সতর্ক করেছেন, পুরনো স্বাভাবিক জীবনে ফেরা এখন বহু দূরের কথা। বাইডেনের কথায়, ‘‘ভ্যাকসিন মজুতের বিষয়ে আমরা এখন অনেকটাই ছন্দে ফিরেছি। জুলাই মাসের মধ্যে সমস্ত আমেরিকান বাসিন্দার টিকাকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন হাতে চলে আসবে।’’ আমেরিকান প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘‘কবে সব ঠিক হয়ে যাবে, দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করে বলতে পারব না। কিন্তু এটুকু বলতে পারি, যতটা সম্ভব আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’’
ভ্যাকসিন মজুত করা নিয়ে আমেরিকা-ইউরোপ স্বস্তি প্রকাশ করলেও অসন্তুষ্ট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। টিকার সমবণ্টন করার দাবি তুলেছে তারা। এ প্রশ্নও তুলেছে, কেন ১৩০টি দেশ এখনও একটি ডোজ়ও পায়নি? আজ ওয়র্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন (ডব্লিউটিও) জানিয়েছে, শুধু নিজেদের সমস্যার কথা না-ভেবে ব্রিটেনের উচিত গরিব, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সাহায্য করা।