টেড্রস অ্যাডানম গ্যাব্রিয়েসাস। —ফাইল চিত্র।
চূড়ান্ত পরীক্ষায় পাশ করেনি এখনও। তা সত্ত্বেও অগ্রিম বুকিং হয়ে গিয়েছে। কে, কত আগে নোভেল করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য প্রতিষেধক বাজারে আনতে পারে, তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রতিষেধক আসা মাত্রই অতিমারির গতিরুদ্ধ হয়ে যাবে, তা মানতে নারাজ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। প্রতিষেধক হাতে পেলে পরিস্থিতি সামাল দিতে সুবিধা হবে মাত্র। অতিমারির প্রকোপ একেবারে কেটে যাবে, তা নয়।
সব ঠিক থাকলে বছর শেষ হওয়ার আগেই করোনার প্রতিষেধক নিয়ে তারা হাজির হবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে আমেরিকান সংস্থা ফাইজার ও তার জার্মান অংশীদার বায়োএনটেক। সেই দৌড়ে শামিল হয়েছে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি এবং আমেরিকার মডার্না সংস্থার তৈরি সম্ভাব্য প্রতিষেধকও। সেই প্রতিষেধক হাতে পাওয়া নিয়েও প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে বিভিন্ন দেশের মধ্যে।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন হু প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গ্যাব্রিয়েসাস। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিষেধক এলে অতিমারি সামাল দেওয়ার কাজে সুবিধা হবে। এই মুহূর্তে আমাদের হাতে যে সমস্ত সরঞ্জাম রয়েছে, তাতে বাড়তি একটি যোগ হবে। বাকি সরঞ্জাম লাগবে না, শুধু প্রতিষেধক দিয়েই হবে, এমনটা কিন্তু নয়। প্রতিষেধকের একার পক্ষে অতিমারি দূর করা সম্ভব নয়।’’
আরও পড়ুন: তাদের করোনা টিকা ৯৪ শতাংশের বেশি কার্যকরী, ফাইজারের পর এ বার দাবি মডার্নার
আরও পড়ুন: করোনা টিকার তথ্য হাতাতে সাইবার হানা, জানাল মাইক্রোসফ্ট
প্রতিষেধক আবিষ্কার হলে সবার আগে স্বাস্থ্যকর্মী, বয়স্ক বা সত্বর প্রয়োজন রয়েছে, এমন মানুষদেরই প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানান গ্যাব্রিয়েসাস। তবে প্রতিষেধক এসে গিয়েছে বলে সতর্কতা মেনে চলার প্রয়োজন আর নেই, এমন ভাবা ভুল হবে বলেও সতর্ক করে দেন তিনি। হু প্রধান বলেন, ‘‘প্রতিষেধক এলেও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকেই যাবে। তাই নজরদারি চালিয়ে যেতে হবে। যত বেশি সম্ভব মানুষের ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়ে, তাঁদের আইসোলেশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে দ্রুত। সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে ঠিক কত জন এসেছেন, তা-ও যত দ্রুত সম্ভব খুঁজে বার করতে হবে। পর্যবেক্ষণে রেখে উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা দিতে হবে আক্রান্তকে।’’