স্বামী প্রিন্স ফিলিপের সঙ্গে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। —ফাইল চিত্র।
সাধারণ মানুষের আতঙ্ক কাটাতে প্রতিষেধক নেওয়া নিয়ে রাষ্ট্রনেতাদের নানা মতামত উঠে আসছে। তার মধ্যেই রাজপ্রাসাদে বসে নোভেল করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে নজির গড়লেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং তাঁর স্বামী প্রিন্স ফিলিপ। রানি এবং তাঁর স্বামী, দু’জনেই নবতিপর। প্রিন্স ফিলিপ আবার এ বছর ১০০ বছর পূর্ণ করবেন। প্রতিষেধক নিয়ে ব্রিটেনবাসীর সংশয় দূর করতেই তাঁরা এমন সাহসী পদক্ষেপ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
ব্রিটেনে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে ফাইজার-বায়োএনটেক এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি প্রতিষেধকের প্রয়োগ শুরু হয়েছে সেখানে। চলতি সপ্তাহে আমেরিকার মডার্নার তৈরি প্রতিষেধকও ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে সেখানে। কিন্তু দেশের একটা বড় অংশের মানুষের মধ্যেই প্রতিষেধকের কার্যকারিতা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাই স্বামী-সহ নিজে প্রতিষেধক নিয়ে মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রানি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, অতিমারি আবহে স্বামীর সঙ্গে বেশির ভাগ সময়টাই নিভৃতবাসে কাটছে রানির। বয়সের কথা মাথায় রেখে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করছেন তাঁরা। এমনকি যুগ যুগ ধরে চলে আসা স্যান্ড্রিংহ্যামের বড়দিনের উৎসবও এ বছর বাতিল করেন রানি। তার পর গত শনিবার প্রতিষেধক নেন তাঁরা। উইন্ডসর প্রাসাদের অন্দরমহলে তাঁদের উপর প্রতিষেধক প্রয়োগ করেন প্রাসাদেরই এক চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: উপকূলে ভেসে এল দেহাংশ, ইন্দোনেশিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের সব যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা
আরও পড়ুন: টুইটারে মোদীকে তীব্র আক্রমণ, সিনিয়র পাইলটকে বহিষ্কার করল গোএয়ার
ব্রিটেনে এখনও পর্যন্ত ১৫ লক্ষ মানুষের উপর প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সে দেশের ইতিহাসে এত ব্যাপক আকারে টিকাকরণের নজির আর নেই। প্রতিষেধক প্রয়োগের ক্ষেত্রে আপাতত স্বাস্থ্যকর্মী এবং বয়স্কদেরই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। তবে টিকাকরণ শুরু হলেও, তৃতীয় দফায় দেশবাসীকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।