প্রতীকী ছবি।
ডিসেম্বর মাসেই ইউরোপে শুরু হয়ে যাবে করোনা টিকাকরণের কাজ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর তরফে জানানো হয়েছে, ক্রিসমাসের আগেই করোনা প্রতিষেধকের বণ্টন এবং ব্যবহার শুরু হওয়ার সম্ভাবনা।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বুধবার বলেন, ‘‘ডিসেম্বর মাস শেষ হওয়ার আগেই ইউরোপে প্রথম বার কোনও ব্যক্তিকে করোনা প্রতিষেধক দেওয়া হবে।’’ তিনি জানান, কোভিড-১৯ টিকার সংরক্ষণ এবং বণ্টনের উদ্দেশ্যে ‘লজিস্টিক্যাল কোল্ড চেন’ তৈরির জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি সদস্যরাষ্ট্রকে বার্তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উরসুলা জানিয়েছেন, করোনা টিকা উৎপাদন এবং সরবরাহের জন্য ইতিমধ্যেই ৬টি সংস্থার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চুক্তি হয়েছে। সপ্তম সংস্থাটির সঙ্গে আলোচনা চলছে। ইউরোপের ৪৬ কোটি বাসিন্দার জন্য করোনা টিকার ৮০ কোটি ডোজের সংস্থান করা হচ্ছে। কারণ, জনপ্রতি টিকার অন্তত ২টি ডোজের প্রয়োজন। বড়দিনের পরে করোনাভাইরাসের ‘তৃতীয় ঢেউ’ হানা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন উরসুলা।
আরও পড়ুন: বিহারে স্পিকার পদ দখলে নিয়ে ‘চক্রব্যূহ’ দৃঢ় করল বিজেপি
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ইইউ-এর তরফে টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা মডার্নার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। আমেরিকার ওই সংস্থার থেকে ১৬ কোটি ডোজ কিনতে পারে ইউরোপীয় রাষ্ট্রগোষ্ঠী। সম্প্রতি মর্ডানা জানিয়েছিল, মানবদেহে চূড়ান্ত দফার পরীক্ষায় তাদের টিকা ৯৪ শতাংশ কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে। মডার্নার ভ্যাকসিন তৈরি এবং পরীক্ষার কাজে যুক্ত ছিল ‘ফাউচি’স ইনস্টিটিউট’। ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপরে পরীক্ষা হয়। এই টিকাটি সাধারণ রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা সম্ভব। ফলে তা ব্যবহার অনেক সুবিধানজনক। ইতিমধ্যেই আমেরিকার ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’-এ টিকার বাণিজ্যিক উৎপাদনের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে আমেরিকা।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তার অছিলায় অ্যাপ নিষিদ্ধ করছে ভারত, অভিযোগ চিনের
ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের প্রতিষেধক সংক্রান্ত সরঞ্জামের দায়িত্বে থাকা গুস্তাভ পার্না জানিয়েছেন, ডিসেম্বরেই আমেরিকায় করোনা প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে ফাইজারের প্রতিষেধক ব্যবহার করা হবে।