COVID-19. Coronavirus

এক ডোজেই কাজ! প্রাথমিক ট্রায়ালে সফল জনসনের করোনার টিকা

জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি সম্ভাব্য করোনা প্রতিষেধকের নাম এডি২৬.কোভ২.এস।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিউ জার্সি শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:০৯
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

তাদের তৈরি সম্ভাব্য প্রতিষেধকের একটি ডোজই কার্যকরী। ওই একটি ডোজই নোভেল করোনার বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম ও মধ্যবর্তী ধাপে ইতিমধ্যেই তা প্রমাণিত। গোটা বিশ্বে নোভেল করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা যখন তিন কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে, সেই সময় একটি অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্টে এমনটাই দাবি করল মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন

Advertisement

শুক্রবার মেডআরএক্সআইভি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা হয়, পৃথক ভাবে দু’টি ডোজ প্রয়োগ করে সমান প্রতিক্রিয়া মিলেছে। তবে একটি মাত্র ডোজ দিলে কতটা কাজ হয় এবং দু’টি ডোজ প্রয়োগে কী ফল মেলে, এই মুহূর্তে তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তাতেও যদি দেখা যায় যে একটি ডোজেই কাজ হচ্ছে, সেই মতো পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। তবে বয়স্কদের মধ্যেই সংক্রমণের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। তাঁদের উপর এর এই প্রতিষেধক কতটা কার্যকরী হবে, অল্পবয়সীদের মতো এই প্রতিষেধকের একটি মাত্র ডোজ তাঁদেরও সমান ভাবে রক্ষা করবে কি না, তা নিয়ে এখনও ধন্দ রয়েছে।

জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি সম্ভাব্য করোনা প্রতিষেধকের নাম এডি২৬.কোভ২.এস। গত জুলাই মাসে প্রথমে একদল হনুমানের উপর ওই প্রতিষেধক পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয়। তাতে দেখা যায়, কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছে সেটি। তার পরেই মার্কিন সরকারের অনুমোদনে ১ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের উপর প্রাথমিক পর্যায়ে সেটির প্রয়োগ শুরু হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: চ্যাট করেছি, ড্রাগ নিই না, জেরায় বললেন দীপিকা!​

জনসন অ্যান্ড জনসনের গবেষকদের দাবি, এখনও পর্যন্ত যাঁদের উপর ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৯৮ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, যা কিনা টিকা নেওয়ার পর ২৯ দিন পর্যন্ত প্যাথোজেন থেকে কোষগুলিকে রক্ষা করতে সক্ষম।

সম্ভাব্য ওই প্রতিষেধকের প্রয়োগে শরীরে কী প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়, তা ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে মাত্র ১৫ জনের উপরেই পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তাই ব্যাপক হারে পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত উদ্বেগ কাটছে না। তবে আগামী দিনে নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে সবিস্তার তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক টিএইচ চ্যানের মতে, কোনও প্রতিষেধকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানতে হলে আরও ব্যাপক হারে পরীক্ষা করার প্রযোজন রয়েছেয় তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তবেই কোনও প্রতিষেধককে নিরাপদ বলে মানা সম্ভব।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৯৩ হাজার, মহারাষ্ট্রে মোট আক্রান্ত ১৩ লক্ষ ছাড়াল​

জনসন অ্যান্ড জনসনের তরফে ইতিমধ্যেই ৬০ হাজার মানুষের উপর সম্ভাব্য প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়ে গিয়েছে। এ বছরের শেষ দিকে অথবা চলতি বছরের শুরুতেই তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ যাবে এবং তার পরেই নিয়ামক সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদনও হাতে চলে আসবে বলে আশাবাদী জনসন অ্যান্ড জনসন কর্তৃপক্ষ। তবে করোনার প্রতিষেধক তৈরির দৌড়ে জনসন অ্যান্ড জনসনের থেকে ফাইজার এবং মডার্নাকেই এগিয়ে রাখছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই দুই সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসনের আগে প্রতিষেধক এনে ফেলবে বলে ধারণা তাঁর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement