অতিরিক্ত ৮ কোটি ৮০ লক্ষ থেকে ১১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ চরম দারিদ্রসীমায় পৌঁছবেন। ছবি সংগৃহীত।
অন্তত ১৫ কোটি! পৃথিবীর এই বিপুল সংখ্যক মানুষ ২০২১-এর মধ্যে চরম দারিদ্রের মুখে পড়বেন বলে সতর্ক করল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। কারণ, করোনা-অতিমারি। বিশেষ করে ভারতের বিপুল জনসংখ্যা নিয়ে চিন্তিত তারা। তাদের বক্তব্য, দিল্লির কাছে দেশের দারিদ্র নিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য নেই। ফলে আসন্ন পরিস্থিতি নিয়ে তারা আরওই অন্ধকারে।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, অতিমারি ও টানা গৃহবন্দী দশায় কাজকর্ম হারিয়ে পৃথিবীতে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৮০ লক্ষ থেকে ১১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ চরম দারিদ্রসীমায় পৌঁছবেন। তাতে মোট ১৫ কোটি চরম দারিদ্রের মুখোমুখি হবেন। সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য আরও প্রকট হবে।
‘পভার্টি অ্যান্ড শেয়ারড প্রসপারিটি রিপোর্ট’ অনুযায়ী ২০১৭ সালে দারিদ্রের হার ছিল ৯.২ শতাংশ। ২০২০ সালে করোনা-অতিমারি না-এলে এই সংখ্যাটা কমে ৭.৯ শতাংশে চলে আসত। বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেন, ‘‘অতিমারি ও বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার জেরে পৃথিবীর জনসংখ্যার ১.৪ শতাংশেরও বেশি তীব্র দারিদ্রের মধ্যে পড়বেন। এই পরিস্থিতি সামলাতে ও অর্থসঙ্কট কমাতে দেশগুলোর উচিত পরিবর্তিত অর্থনীতি তৈরি করা। মূলধন, শ্রম, দক্ষতা এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নতুন ব্যবসা এবং কর্মক্ষেত্র তৈরি করা।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, যে দেশে এমনই দারিদ্র বেশি, সেখানে আরও নতুন দরিদ্র শ্রেণি তৈরি হবে। মধ্য-আয়ের দেশগুলি সব চেয়ে বিপাকে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে রিপোর্টে।
বিশ্ব ব্যাঙ্ক আরও জানিয়েছে, দেশবাসীর আয় সম্পর্কিত সাম্প্রতিক তথ্য ভারত দেয়নি। তাতে এ দেশের পরিস্থিতি জানা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। তাদের বক্তব্য, ‘‘বিশ্বের অন্যতম বড় অর্থনীতির কাছে তথ্য নেই! অথচ এ দেশে দরিদ্রের সংখ্যা যথেষ্টই। এ অবস্থায় অসম্পূর্ণ তথ্য, ভারতের পরিস্থিতি বোঝার পক্ষে আরও অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।’’
এ বছর ডিসেম্বরের মধ্যে ভ্যাকসিন তৈরি হলেও পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে প্রতিটি পরিবারে প্রতিষেধক পৌঁছতে সময় লাগবে। করোনা রোখা গেলেও ভবিষ্যতে আসন্ন দারিদ্র নিয়ে চিন্তায় বিশ্ব ব্যাঙ্ক।