আমেরিকায় প্রথম করোনার এই নতুন উপরূপের হদিস পাওয়া গিয়েছে। প্রতীকী ছবি।
করোনার নয়া উপরূপ বিএফ.৭ ঘিরে উদ্বেগের মধ্যেই ভাইরাসের আরও এক নতুন রূপ ঘিরে আতঙ্ক বাড়ল। হদিস পাওয়া গেল করোনার প্রজাতি ওমিক্রন এক্সবিবি-র বংশধর এক্সবিবি.১.৫, যার ডাক নাম ‘ক্রাকেন’। করোনার আরও এক নতুন উপরূপ ঘিরে আশঙ্কা বাড়ল।
২০২২ সালে করোনার এই উপরূপের প্রথম হদিস পাওয়া গিয়েছিল আমেরিকায়। এর পর থেকেই দ্রুত গতিতে ছড়িয়েছে সংক্রমণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) সূত্রে খবর, বর্তমানে আমেরিকা ছাড়াও আরও ২৮টি দেশে হানা দিয়েছে করোনার এই নতুন উপরূপ।
বর্তমানে করোনার উপরূপ বিএফ.৭-এর দাপটে দিশেহারা অবস্থা চিনের। হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। যার জেরে আবার গোটা দুনিয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এমন সময়ই করোনার আরও এক উপরূপ ‘ক্রাকেন’-এর কথা প্রকাশ্যে এল। বিশেষজ্ঞদের মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে ‘ক্রাকেন’। অত্যন্ত দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়াতে পটু করোনার এই উপরূপ। আর সে কারণেই চিন্তা বেড়েছে। গত বছরের অক্টোবর মাসে প্রথম এই উপরূপের হদিস পাওয়া গিয়েছিল। বর্তমানে এই উপরূপের কারণে সংক্রমণের হার দ্বিগুণ।
হু’র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ বলেছে, ‘‘আমেরিকা ও অন্য দেশগুলিতে দ্রুত হারে এক্সবিবি.১.৫-এর কারণে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। যা উদ্বেগজনক।’’
কী ভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছে করোনার এই উপরূপ? আমেরিকায় ‘সেন্টার ফর ডিজ়িজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর পরিসংখ্যান অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে আমেরিকায় করোনা সংক্রমণের ১ শতাংশ ছিল এই উপরূপের কারণে। বর্তমানে এই হার ৪১ শতাংশ। অর্থাৎ, অত্যন্ত দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে করোনার এই উপরূপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে ‘ক্রাকেন’কে ‘অত্যন্ত সংক্রামক উপরূপ’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
আমেরিকা-সহ ২৯টি দেশে এই উপরূপের কারণে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেহেতু অনেক দেশেই কোভিড বিধি শিথিল করা হয়েছে এবং পরীক্ষা কমানো হয়েছে, ফলে নিঃশব্দে থাবা বসাতে পারে এই উপরূপ।
করোনার এই নয়া উপরূপ কতটা বিপজ্জনক? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ‘ক্রাকেনে’র কারণে সংক্রমণের ভয়াবহতা তেমন একটা নেই। অতীতে করোনার যে সমস্ত প্রজাতির হদিস পাওয়া গিয়েছে, তার সঙ্গে এটির খুব একটা পার্থক্য নেই। তবে তা-ও এই উপরূপকে ঘিরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে কারণ, মানবদেহে প্রতিষেধকের কারণে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি সত্ত্বেও এই উপরূপের কারণে সংক্রমণ ঘটতে পারে। করোনার অন্যান্য উপরূপ ও প্রজাতিতে আক্রান্ত হওয়ার পরও এই উপরূপের কারণে নতুন করে সংক্রমিত হতে পারেন কেউ। এ কারণেই উদ্বেগ বেড়েছে এই উপরূপকে ঘিরে।