মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) উপরে চাপ বাড়িয়েই চলছে আমেরিকা। করোনাভাইরাসের উৎস ও এই অতিমারি মোকাবিলায় সংস্থাটি কী ভাবে সাড়া দিয়েছে তা নিয়ে অবিলম্বে তদন্ত শুরু করার দাবি জানাল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
দু’দিন আগেই হু-কে ‘চিনের হাতের পুতুল’ বলে কটূক্তি করে অনুদান বন্ধের হুমকি দিয়েছিল সংস্থাটি। আজ আমেরিকা-সহ হু-র ৩৪টি সদস্য দেশের মিলিত বোর্ডের সম্মেলন ছিল। ৩ ঘণ্টার সেই সম্মেলনে মার্কিন সহকারী স্বাস্থ্যসচিব ব্রেট পি গিরোয়ার বলেন, ‘‘বাকি সদস্য দেশগুলির সঙ্গে আলোচনাক্রমে আমরা অতি দ্রুত হু-কে একটি নিরপেক্ষ, স্বতন্ত্র ও সার্বিক তদন্তের আর্জি জানাচ্ছি।’’ তাঁর বক্তব্য, এই তদন্ত থেকে করোনার উৎস, কী ভাবে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল ও এই রোগ মোকাবিলায় হু কী ভাবে সাড়া দিয়েছিল সে বিষয়ে স্পষ্ট ও সম্পূর্ণ ধারণা পাওয়া যাবে। সম্মেলনে হু-প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে করোনা-সঙ্কট শুরু হওয়ার পর থেকে দিন-রাত এক করে লড়াই করে চলেছে সংস্থাটি। প্রত্যেক সদস্য দেশকে এর গতিবিধি ও ফলাফলের বিষয়ে অবগত করেছে ও প্রযুক্তিগত পরামর্শ দিয়েছে।
করোনা রুখতে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনকে ‘গেম চেঞ্জার’ বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, করোনা থেকে বাঁচতে তিনি নিজে খান এই ওষুধ। অথচ চিকিৎসাবিজ্ঞান সংক্রান্ত পত্রিকা ল্যানসেট-এর এক গবেষণায় উঠে এল, করোনার চিকিৎসায় কোনও উপকারিতা নেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের।
আরও পড়ুন: করাচিতে যাত্রী-বিমান ভেঙে মৃত অন্তত ৭৩
অ্যাজ়িথ্রোমাইসিন ও ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন এই দু’টি অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে ক্লোরোকুইন বা হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রয়োগ করা হয়েছে এমন ১৫ হাজার করোনা রোগীর তথ্য যাচাই করেছে পত্রিকাটি। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, করোনা প্রতিরোধে কাজ তো করেই না, বরং এই ওষুধের প্রয়োগে গুরুতর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। হৃদ্যন্ত্রের গতি বাড়িয়ে দেয় এই ওষুধ, যার ফলে মৃত্যুর ঝুঁকিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
আরও পড়ুন: ক্ষতি অন্তত লক্ষ কোটি টাকা: মমতা ॥ হাজার কোটির প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর
ব্রাজিলে আজ করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেল। অত্যন্ত সঙ্কটজনক মেক্সিকো, চিলে, পেরুর মতো দেশগুলিও। প্রতিটি দেশেই দেখা যাচ্ছে, লকডাউন ভাঙা মাত্র সংক্রমণ হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় ১ জুন থেকে ইংল্যান্ডে স্কুলগুলি খোলা হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয় কাউন্সিল।