ছবি পিটিআই।
নিজামুদ্দিন কাণ্ডে করোনাভাইরাস সংক্রমণ তো কপালে ভাঁজ ফেলেছেই। এ বার বিভিন্ন দেশ থেকে ভারতে আসা তবলিগি জামাত সদস্যদের নিয়ে কূটনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গেল।
এক দিকে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তাইল্যান্ডের মতো দেশগুলি তাদের নাগরিক তবলিগি সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য সাউথ ব্লকের সঙ্গে কথা বলছে। যাদের করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়নি অথচ কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে, তাদের কী ভাবে দেশে ফেরানো যায়, তা জানতে চাইছে। আবার ভারতের তরফ থেকে রাষ্ট্রদূতদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশগুলিকে জানানো হয়েছে, কোয়রান্টিন-এর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে কারও সঙ্গে দেখা করতে দেওয়ার প্রশ্ন নেই। জেনেভা কনভেনশন-এর সনদ অনুযায়ী ‘কনসুলার অ্যাক্সেস’-এর দাবি এখানে করা যায় না, কারণ এখন অভূতপূর্ব পরিস্থিতি চলছে। কোয়রান্টিন-এর মেয়াদ শেষ হলে, হয় চার্টার্ড বিমানে তাঁদের ফেরত পাঠানো হবে, অথবা উড়ান চালুর জন্য অপেক্ষা করা হবে। যাঁরা ইতিমধ্যেই ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন, তাঁদের অপেক্ষা করতে হবে আরোগ্যের জন্য।
পাশাপাশি পর্যটক ভিসা নিয়ে এসে ধর্ম সম্মেলনে যোগ দিয়ে শর্তভঙ্গ করার জন্য ভারতের ভিসা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাও করা হবে এই বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে। গত কালই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বিভিন্ন দেশ থেকে ভারতে আসা মোট ৯৬০ জন তবলিগি সদস্যের পর্যটন ভিসা বাতিল করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, ৩৯টি দেশ থেকে তবিলিগি সদস্যরা এসেছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের ১১০ জন, ইন্দোনেশিয়ার ৩৭৯ জন এবং তাইল্যান্ডের ৬৫ জন ছিলেন। সরকারের বক্তব্য, ৫০০ ডলার করে আর্থিক জরিমানা দেওয়ার পর তবেই ফেরার অনুমতি পাবেন তাঁরা। আগামী দু বছর ভারতে আসাও নিষিদ্ধ। সাহারনপুর এবং কানপুরে ডেরা বাঁধা নিজামুদ্দিনের সমাবেশ ফেরত ৬৫ জন বিদেশির বিরুদ্ধে মামলা করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশও।