করোনা সংক্রমণ রুখতে লন্ডনে তৎপরতা এনএইচএসের স্বাস্থ্যকর্মীদের। ছবি- এএফপি।
নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদেরই মৃত্যু হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ভারতীয়দের পরেই রয়েছেন ক্যারিবিয়ানরা। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ইংল্যান্ডে থাকা পাকিস্তানিরা।
ইংল্যান্ডের ‘ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস (এনএইচএস)’-এর দেওয়া সরকারি পরিসংখ্যান এ কথা জানিয়েছে। এনএইচএসের দেওয়া তথ্য বলছে, নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ইংল্যান্ডে গত ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত যে ১৩ হাজার ৯১৮ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১৬.২ শতাংশই কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয় ও সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর। এই কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয় ও সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর ৩ শতাংশই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। এর পরেই রয়েছেন ক্যারিবিয়ানরা। ২.৯ শতাংশ। তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছেন পাকিস্তানিরা, ২.১ শতাংশ। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের হার ০.৬ শতাংশ। আর চিনা জনগোষ্ঠীগুলির হার ০.৪ শতাংশ।
তবে এখনও পর্যন্ত ইংল্যান্ডের সর্বত্র সার্বিক ভাবে করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। ফলে, এই পরিসংখ্যানে তারতম্য ঘটতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইংল্যান্ডে থাকা কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয় ও সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর কত জন কোভিড-১৯-এ সংক্রমিত হয়েছেন আর তাঁদের মধ্যে কত জনের পরীক্ষা করা সম্ভব হয়েছে, কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে দিনকয়েক আগেই জানিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। তার পরেই ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত এই তালিকা প্রকাশ করল এনএইচএস।
এনএইচএসের পরিসংখ্যানে এও দেখা গিয়েছে, নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর নিরিখে ইংল্যান্ডে থাকা কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয় ও সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর মানুষের সংখ্যা অন্যদের চেয়ে বেশি। মিশ্র জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ০.৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: রিপোর্টের ক্ষেত্রে আশা করি কেন্দ্রীয় দল নিরপেক্ষ হবে: মুখ্যসচিব
আরও পড়ুন: কিট দেওয়ার নাম নেই, বদনামের চক্রান্ত: মমতা
শুধু তাই নয়, এনএইচএসের স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে যাঁরা কোভিড-১৯-এ সংক্রমিত হয়ে মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যেও এগিয়ে রয়েছে কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয় ও সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীগুলিই। এনএইচএসের পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, এই জাতিগোষ্ঠীগুলির ৬৯ জন মারা গিয়েছেন কোভিড-১৯-এ সংক্রমিত হয়ে।
‘দ্য ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ফিজিশিয়ান্স অফ ইন্ডিয়ান অরিজিন (বাপিও)’-এর সভাপতি চিকিৎসক রমেশ মেটা বলেছেন, “আগামী দিনে কী ভাবে ইংল্যান্ডে থাকা কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয় ও সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীগুলির মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণ রোখা যেতে পারে, ব্রিটিশ সরকারকে তার পরামর্শ দেওয়ার ব্যাপারে সাহায্য করবে এই পরিসংখ্যান।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)