ফ্রান্স-জার্মানি সীমান্তে চলছে করোনা সন্দেহে পরীক্ষা। ছবি: এএফপি
ইটালির পর এ বার কি ফ্রান্স! নোভেল করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়াচ্ছে, ‘প্রতি তিন দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ’ হচ্ছে। তাই চরম উদ্বেগ প্রকাশ করল ফ্রান্সের স্বাস্থ্য প্রশাসন। ‘অত্যন্ত ভয়ঙ্কর’ বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান জেরোম সলোমন। সরকারি ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি না করলেও নাগরিকদের বাইরে না বেরনোর আর্জি জানিয়েছেন সলোমন।
ইউরোপের মধ্যে তো বটেই, চিনের পর সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছে ইটালি। দেশের সবাইকে ‘কোয়রান্টিন’ থাকার ঘোষণা করা হয়েছে কয়েক দিন আগেই। এ বার একই রকম উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ল ফ্রান্সেও। সেখানে রবিবারের হিসেবে ইতিমধ্যেই ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪২৩ জন। চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৪০০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিদের সংক্রমণ মৃদু।
কিন্তু যেটা উদ্বেগের, সেটা হল, শ’য়ে শ’য়ে আক্রান্ত বাড়ছে প্রতিদিন। মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে তাল মিলিয়ে। রবিবারের দেওয়া হিসেবে দেখা গিয়েছে, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। এ ছাড়া আরও ৪০০০ জনকে করোনা সংক্রামিত সন্দেহে কোয়রান্টিন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে বিজেপি, করোনা আতঙ্কে ২৬ মার্চ পর্যন্ত আস্থা ভোট হচ্ছে না মধ্যপ্রদেশে
সলোমনের কথায়, চরম উদ্বেগের কারণ এই বৃদ্ধির হারেই। তিনি বলেন, ‘‘দেশের নাগরিকদের এটা বোঝাতে চাই, আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি দিন কয়েকশো করে বাড়ছে। যে গতিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে হাসপাতালগুলিতে জায়গার সঙ্কুলান নাও হতে পারে। এটা এমন একটি বিষয় যা আমাদের রুখতেই হবে। সংক্রমণের গতি কমাতে যা দরকার, আমরা সেটাই করব।’’ একই সঙ্গে বাইরে না বেরনোর আর্জি জানিয়ে সলোমন বলেছেন, ‘‘ফ্রান্সের নারী ও পুরুষ উভয়েরই প্রতিদিন বলা উচিত, আমার থেকে যাতে তৃতীয় বা চতুর্থ কেউ আক্রান্ত না হন। তাই ঘরে থাকুন, এটাই সবচেয়ে সহজ উপায়।’’
আরও পডু়ন: দেশে আক্রান্ত বেড়ে ১১৪, স্পেনে লকডাউন : করোনা আপডেট এক নজরে
সারা বিশ্বে চিনের পরে সবেচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত দেশ ইটালি। সেখানে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৮০৯ জনের। আক্রান্ত ২৪ হাজার ৭৪৭ জন। তবে তার মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৩৩৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ১৬৭২ জন আশঙ্কাজনক। ইটালির পরে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় দেশ ইরান। মৃতের সংখ্যা ৭২৪, আক্রান্ত ১৩ হাজার ৯৩৮। চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন ৪৫৯০ জন। তবে আশার কথা ইরানে আক্রান্তদের মধ্যে কেউ আশঙ্কাজনক নেই।
গ্রাফিক: তিয়াসা দাস