Imran Khan

‘নিউইয়র্ককে দেখুন’, করোনা থেকে নিস্তার নেই কারও, মন্তব্য ইমরানের

গতকালই পাকিস্তানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাড়ায় ২ হাজার ৮১৮ ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লাহৌর শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২০ ১৮:৩৫
Share:

ইমরান খান। ছবি: এপি।

নোভেল করোনার প্রকোপ থেকে রেহাই পায়নি আমেরিকার মতো দেশও। সেখানে তাঁরা কোন ছাড়! দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যখন পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে, সেইসময় এমনই মন্তব্য করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জানিয়ে দিলেন, করোনার হাত থেকে কোনও দেশেরই নিস্তার নেই।

Advertisement

শনিবার পঞ্জাব প্রদেশের লাহৌরে করোনা আক্রান্তদের জন্য গঠিত ১০০০ বেডের একটি অস্থায়ী হাসপাতালে যান ইমরান। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘কারও মনে এই ভুল ধারণা থাকা উচিত নয় যে তাঁরা করোনা থেকে রেহাই পাবেন। নিউ ইয়র্ককে দেখুন। বিশ্বের তাবড় ধনী মানুষের বাস সেখানে।’’

গতকালই পাকিস্তানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাড়ায় ২ হাজার ৮১৮ । মৃত্যুসংখ্যা ৪১। এই পরিস্থিতি কবে কাটিয়ে ওঠা যাবে, সে ব্যাপারে তিনি নিজেও নিশ্চিত নন বলে জানিয়ে দেন ইমরান। তিনি বলেন, ‘‘আগামী দিনে প্রকোপ থিতিয়ে এলেও, ফের তা জেগে উঠতে পারে। ঠিক কী হতে চলেছে, তা আমরা কেউ জানি না।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ১২ লক্ষ ছাড়াল বিশ্বে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত ৬৪ হাজারেরও বেশি​

তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে তাঁর সরকার চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখছে না বলেও দাবি করেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এই প্রকোপ কেটে গেলে আমরা সম্পূর্ণ অন্য রূপে উঠে দাঁড়াব। এই ধরনের পরিস্থিতিকে যাঁরা পরীক্ষা হিসাবে মেনে নেন এবং মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লড়াই করেন, যুদ্ধ শেষে তাঁরাই বিজয়ী হন।’’

এই মুহূর্তে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশেই করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। সেখানে এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ১৩১ জন কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিন্ধ প্রদেশ। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩৯। খাইবার-পাখতুনখোয়া, বালুচিস্তান এবং গিলগিট-বাল্টিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৮৩, ১৮৫ এবং ১৯৩। ইসলামাবাদ থেকে ৭৫ জন এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ১২ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে।’’

তবে এখনও পর্যন্ত দেশে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেনি পাক সরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিং মল, রেস্তরাঁ -সহ জনসমাগম হতে পারে এমন জায়গাগুলি সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও, কৃষি এবং নির্মাণক্ষেত্রে কাজ অব্যাহত রয়েছে। আগামী দিনে ধীরে ধীরে জামাকাপড়ের দোকান, মাংসের দোকান, চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যবসা, ফল, সবজি, ওষুধের দোকানও খোলা হবে বলে জানিয়েছে পঞ্জাব সরকারও।

আরও পড়ুন: প্রণব মনমোহনদের ফোন মোদীর, চাইলেন পরামর্শ, কথা মমতার সঙ্গেও​

যদিও খুব শীঘ্র করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে পাক সরকার। বরং চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারে গিয়ে ঠেকতে পারে বলে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে তারা। তবে জরুরি পরিস্থিতি দেখা দিলে তার জন্য ৩৬ কোটি ৬০ লক্ষ ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement