Coronavirus Lockdown

জুম, হ্যাংআউট নিয়ে কর্মীদের সতর্ক করল স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্ক

অভিযোগ, গ্রাহকদের তথ্য বিক্রি করে দিচ্ছে ওই সব অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলি। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে হানা দিতে পারে হ্যাকাররা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিউইয়র্ক ও সিঙ্গাপুর শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২০ ২১:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি

বাইরে বিপদ করোনা। তাই ঘরে থেকে নিরাপদে বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে জুম, ওয়েব এক্স, গো টু মিটিংয়ের মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে বেছে নিচ্ছেন অনেকেই। আপাত ভাবে নিরাপদ মনে হলেও, যোগাযোগের সেই রাস্তাতেই লুকিয়ে রয়েছে অন্য বিপদ! অভিযোগ, গ্রাহকদের তথ্য বিক্রি করে দিচ্ছে ওই সব অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলি। উঠছে এমন অভিযোগও। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে হানা দিতে পারে হ্যাকাররা। এই আশঙ্কায় সম্প্রতি এমনই কয়েকটি অনলাইন ভিডিয়ো কনফারেন্সিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা নিয়ে কর্মীদের সতর্ক করে দিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্ক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা ‘রয়টার্স’-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে ওই ব্যাঙ্কের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার বিল উইন্টার্স একটি বিজ্ঞপ্তিতে তাঁর কর্মীদের জুম ভিডিয়ো কমিউনিকেশন নামে প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। তেমনই গুগল হ্যাং আউট ব্যবহারের ক্ষেত্রেও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এ ব্যাপারে সাইবার বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, ওই অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলির অনেক জায়গাতেই এনক্রিপশন (যে প্রক্রিয়ায় তথ্য বা ডেটা কো়ডে রূপান্তরিত হয় এবং তা সুরক্ষিত থাকে) দুর্বল। বিল উইন্টার্সের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে অবশ্য এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। তবে এ-ও জানানো হয়েছে, কর্মীরা যে কোনও অথোরাইজড অডিয়ো বা ভিডিয়ো কনফারেন্সিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্কের অন্য একটি সূত্র বলছে, সেখানকার কর্মীরা ব্লু জিনস নামে একটি প্ল্যাটফর্মই বেশি ব্যবহার করেন।

করোনা পরিস্থিতিতে অর্ধেক দুনিয়া জুড়েই লকডাউন চলছে। যাবতীয় সামাজিক যোগাযোগ বন্ধ। এক সময়ের নিকট এখন দূরে। বাস্তব জগত ছেড়ে এখন পরাবাস্তব (ভার্চুয়াল) জগতেই যোগাযোগ রাখছেন বহু মানুষ। এই সুযোগেই ব্যবসা বাড়াচ্ছে জুম-এর মতো অনলাইন ভিডিয়ো কনফারেন্সিং অ্যাপগুলি। তাদের ব্যবসার পরিমাণ এখন কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে তা একটি ছোট্ট তথ্যেই বোঝা যাবে। মাস তিনেক আগেও দুনিয়া জুড়ে মাত্র ওই প্ল্যাটফর্মটি রোজ ব্যবহার করতেন ১ কোটি মানুষ। এখন তা বেড়ে হয়েছে দৈনিক ২০ কোটি। গত মার্চ মাসেই ওই অনলাইন প্ল্যাটফর্মের গ্রাহকরা ব্যাপক বিড়ম্বনায় পড়েন। কোয়রান্টিনে থাকাকালীন যোগাযোগের ওই মাধ্যমটি খুলতেই দেখা যায়, সেখানে ঢুকে পড়েছে হ্যাকাররা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে পর্নোগ্রাফি। এই ঘটনাকে ‘জুমবম্বিং’ বলেই ডাকতে শুরু করেছে সংবাদমাধ্যম। ওই প্ল্যাটফর্মগুলিতে গ্রাহকদের নিরাপত্তা যে নিশ্চিত নয় তা নিয়ে সাবধান করে দেয় ইন্টারপোলও।

Advertisement

আরও পড়ুন রাজস্থান ৩৫ হাজার, পশ্চিমবঙ্গ ৩১০০, কোন রাজ্যে করোনা টেস্ট কত

জুম-সহ একাধিক অনলাইন প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে সাইবার সুরক্ষা সংস্থা সাইবেল। তাদের দাবি, অ্যাকাউন্ট প্রতি ১৫ পয়সা দরে ৫ লক্ষের বেশি গ্রাহকের ইমেল, পাসওয়ার্ড-সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তারা ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে কিনেছে। সংস্থাটি আরও অভিযোগ করেছে, হ্যাকারদেরও তথ্য বিক্রি করেছে জুম। আর এই দাবি নিয়েই গোটা দুনিয়া জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিজেদের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আঁটোসাঁটো করতে ফেসবুকের প্রাক্তন সুরক্ষা প্রধানকে নিয়োগ করেছে জুম। কিন্তু তাতেও কলঙ্ক ঘোচেনি। শুধু স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্কই নয়, ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্স, জার্মানি ও তাইওয়ান সরকারও জুম নামে ওই অনলাইন প্ল্যটফর্মকে নিষিদ্ধ করেছে। ওই প্ল্যাটফর্মটি নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করেছে আমেরিকার এফবিআই-ও। তবে এ নিয়ে অভিযুক্ত ওই সংস্থাটির তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

আরও পড়ুন ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনের নতুন সংক্রমণ, সক্রিয় করোনা রোগী ১৩২ জন

করোনা রুখতে যে সব দেশ লকডাউনের পথে হেঁটেছে, সেখানে স্বাভাবিক ভাবেই ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে। আর ওয়েবের এই ভুবনেই ফাঁদ পেতেছে হ্যাকাররা।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement