দু’মাস পুরোপুরি তালাবন্ধ থাকার পরে সোমবার লকডাউন উঠল ইটালিতে। কাজে ফিরলেন প্রায় ৪৪ লক্ষ মানুষ। মিলানের একটি স্টেশনে ট্রেন ধরার ভিড়। এপি
টানা ন’সপ্তাহ ‘তালাবন্ধ’ থাকার পরে আজ দরজা খুলল ইটালির। ২৮,৮০০-রও বেশি মানুষের মৃত্যুর পরে সংক্রমণের গতি কিছুটা কমিয়েছে মারণ ভাইরাস। আজ থেকে বাড়ির বাইরে বেরোনোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে বাসিন্দাদের। অফিস-কারখানাগুলোও খুলেছে। ফুলের দোকানে হাজির হয়েছেন খরিদ্দার। দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রায় দু’মাস পরে কাজে ফিরলেন আজ।
ইটালির আগেই লকডাউন শিথিল করেছে স্পেন। গ্রিসেও একটু একটু করে চালু হয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। বেলজিয়ামে কিছু অফিস খুলেছে। তবে কর্মীদের যতটা সম্ভব বাড়িতে থেকেই কাজ করতে বলা হচ্ছে। রেস্তোরাঁ খুলেছে লেবাননে। ধুঁকতে থাকা অর্থনীতির মুখে ইউরোপের অন্য দেশগুলোতেও লকডাউন তোলার জন্য চাপ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু ভ্যাকসিনের অভাব ও নতুন করে সংক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের হুঁশিয়ারি, তাড়াহুড়ো করে লকডাউন তুলে দিলে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হতে পারে। ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বে সংক্রমণের সংখ্যা ৩৫ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মোট মৃত্যু আড়াই লাখের কাছাকাছি।
নিউজ়িল্যান্ড আজ সুখবর দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, তাদের দেশে নতুন করে সংক্রমণের সংখ্যা শূন্য। মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১৪৮৭তেই আটকেছে তারা। ও দিকে এই মুহূর্তে সংক্রমণের অন্যতম ভরকেন্দ্র বলে মনে করা হচ্ছে রাশিয়াকে। রুশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১০,৫৮১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে সে দেশে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ছাড়াল। সেই সঙ্গে চিন, তুরস্ক, ইরানকে ছাপিয়ে সংক্রমণ তালিকায় সপ্তম স্থানে পৌঁছল রাশিয়া। করোনা-আক্রান্ত রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুসতিনও। তবে মন্দের ভাল এই যে অন্য দেশগুলোর তুলনায় রাশিয়ার মৃত্যুহার অনেকটাই কম। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৬ জন মারা গিয়েছেন। মোট মৃতের সংখ্যা ১৩৫৬।
আরও পড়ুন: আমেরিকায় এক লক্ষ মানুষের প্রাণহানি হতে পারে, আশঙ্কা ট্রাম্পের
আমেরিকার বেশির ভাগ প্রদেশই আংশিক ভাবে খুলে দেওয়া হলেও সংক্রমণ ও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মৃত্যুমিছিল চলছে। রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, এখন তিনিও বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন, ১ লক্ষ নাগরিক মরতে পারেন। প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘৭৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ মানুষকে হারাতে চলেছি আমরা। ভয়ানক ব্যাপার।’’ দু’দিন আগে কিন্তু বলেছিলেন, ১ লাখের মধ্যে মৃত্যুমিছিল থামবে। তার আগে বলেছিলেন, ৬০ বা ৭০ হাজার।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)