প্রতীকী ছবি
ব্রিটেনের বহু হাসপাতালেই পর্যাপ্ত সুরক্ষা বর্ম বা পিপিই নেই। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বাতিলযোগ্য পিপিই পুনর্ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েছে প্রশাসন।
সম্প্রতি সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক একটি নির্দেশিকায় করোনা চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপিই পুনর্ব্যবহার পরামর্শ দেয়। পাশাপাশি, পুরো শরীরের আবরণী না পাওয়া গেলে চিকিৎসকদের জন্য বরাদ্দ সাধারণ অ্যাপ্রন পরার কথাও বলা হয় তাতে। ক্ষোভ ছড়িয়েছে ওই নির্দেশিকা ঘিরে।
অথচ ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক সম্প্রতি এই পিপিই-র আকালের কথা মেনে নিয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন, শুক্রবারের মধ্যে বিদেশ থেকে আরও ৫৫ হাজার গাউন ব্রিটেনে পৌঁছে যাবে। সপ্তাহান্তে তা তুলে দেওয়া হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতে।
ব্রিটেনে স্বাস্থ্যকর্মীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ইউনিসনের তরফে বলা হয়, প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী না পেলে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সংক্রমণের আশঙ্কা বহু গুণ বেড়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে কাজ করতে চাইবেন না অনেকেই। তা ছাড়া নতুন আসা পিপিই কেন স্বাস্থ্যকর্মীরা পাচ্ছেন না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ওই সংগঠনটি।
অন্য দিকে, ব্রিটেনে প্রসূতিদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ রুখতে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। ৪ এপ্রিল সন্তানের জন্ম দেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রিটেনে মৃত্যু হয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক মহিলার। ৩৭ বছরের সালিনা শ-এর মৃত্যুর পরেই প্রসূতিদের সুরক্ষা নিয়ে আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসেছে ব্রিটেন জুড়ে।
কোভিড-১৯ প্রাণ কেড়েছে ব্রিটেনবাসী অনুসূয়া চন্দ্রমোহন নামে আরও এক এক ভারতীয়ের। মৃতার মেয়ে জেনিফার পেশায় নার্স। করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনিও এখন কেমব্রিজের এক হাসপাতালে ভর্তি। জেনিফারের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ফলে মায়ের মৃত্যুর খবর এখনও পর্যন্ত তাঁর কানে পৌঁছয়নি। অনসূয়ার শেষকৃত্যের জন্য অনলাইনে অর্থসংগ্রহ শুরু করেছেন পরিচিতেরাই।