নরেন্দ্র মোদী ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল চিত্র।
হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন না পাঠালে ফল ভুগতে হবে ভারতকে। তার ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সুর বদল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এ বার তিনি বললেন, মোদী ভাল মানুষ। মোদী মহান!
এক সংবাদ সংস্থাকে ট্রাম্প বলেন, “দু’কোটি ৯০ লক্ষ ওষুধ আসছে ভারত থেকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। ভারত থেকে ওষুধ আসছে। মোদী মহান। উনি খুব ভাল মানুষ।”
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, গুজরাতের তিনটে কারখানা থেকে জাহাজবোঝাই ওষুধ পাড়ি দিয়েছে আমেরিকার উদ্দেশে। বুধবার সকালেই সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, এখনও মোদী যদি এই ওষুধ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা না তোলেন খুব আশ্চর্য হব।”
আরও পড়ুন: এ বার হু-কে তোপ ট্রাম্পের, অর্থ সাহায্য বন্ধের হুঁশিয়ারি
আরও পড়ুন: লকডাউনে গৃহবন্দি অবস্থায় মানসিক অবসাদ কাটাবেন কী ভাবে?
মঙ্গলবারই ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন না পাঠালে ফল ভুগতে হবে ভারতকে। তিনি বলেছিলেন, “মোদীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আশা করি, তিনি ওষুধের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন। তবে তিনি যদি নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন, আমেরিকা পাল্টা পদক্ষেপ করতে পিছপা হবে না।”
তাঁর হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমেরিকায় ওষুধ পাঠানোর বন্দোবস্ত করল ভারত। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দিক থেকে এই মুহুর্তে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা আমেরিকার। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে কাজ করবে এমনটাই মনে করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাই আমেরিকায় এই ওষুধের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। সারা বিশ্বের মধ্যে ৭০ শতাংশ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন উৎপাদন করে ভারত। আমেরিকার ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডও এই ওষুধকে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় ছাড় দিয়েছে।
কিন্তু গত ২৫ মার্চ এই ওষুধের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্র। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, এখন থেকে শুধু মানবিক কারণে এবং আপৎকালীন প্রয়োজনেই এই ওষুধ রফতানি করা যাবে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন,feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)