নিজের তৈরি পিপিই হাতে নুর। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
করোনার লড়াইয়ে সবাই নিজেদের মতো করে যোগদান করার চেষ্টা করছেন। তবে মাত্র ন’ বছর বয়সে এক স্কুল ছাত্রী যা করছে, তা অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা হতে পারে। এই বয়সেই চিকিৎসা কর্মীদের জন্য দিনে চারটি করে পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) বানাচ্ছে সে।
এক সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার বছর নয়ের স্কুল পড়ুয়ার নুর আফিয়া কিস্টিনা জামজুরি স্থানীয় হাসপাতালের কর্মীদের জন্য পিপিই বানাচ্ছে। সেই ছবিও প্রকাশ করেছে ওই সংবাদ সংস্থা। ছবিগুলি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
দক্ষিণ মালয়েশিয়ায় নেগিরি সেমবিলানের কুয়ালা পিলা শহরের বাসিন্দা নুর। করোনার প্রকোপের খবর দেখে এই বয়সেই সে বুঝতে পারে, মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারও কিছু উচিত। তাই সে মাকে বলে চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসাকর্মীদের জন্য নিজেই সেলাই করে বানিয়ে দেবে পিপিই।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন মনমোহন সিংহ
নুর মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই সেলাই করতে শিখে গিয়েছিল। এখন স্কুল বন্ধ, অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে। সেই ক্লাস ও খেলার সময়ের বাইরে সারা দিনে চারটি করে পিপিই বানিয়ে ফেলতে পারে সে। সেই পিপিইগুলি তুলে দেওয়া হচ্ছে স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে।
আরও পড়ুন: যেন ‘দাবানল’ ছুটে যাচ্ছে, কিন্তু গাছ-ঘাস কিছুই পুড়ছে না আগুনে
নুর ইতিমধ্যেই প্রায় ১৩০টি পিপিই তৈরি করে স্থানীয় দুই হাসপাতালে দিয়েছে। এখনও প্রায় ৬০টি পিপিই তৈরি হচ্ছে। সেগুলিও তুলে দেওয়া হবে চিকিৎসা কর্মীদের জন্য। তার এই কাজ শুধু মালয়েশিয়াতেই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে নেটাগরিকদের কাছেও প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছে।
দেখুন সেই পোস্ট:
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানা ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের সঙ্গে। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা, তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি প্রকাশযোগ্য বলে বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)