ভিড় বাড়ছে চিনের নাইট ক্লাবে। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
করোনাভাইরাসের ধাক্কা অনেকটাই কাটিয়ে উঠে চেনা ছন্দে ফিরছে চিন। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক জনজীবনে ফেরার চেষ্টা করছেন মানুষ। খুলছে নাইট ক্লাবের মতো জায়গাগুলিও। তবে সেখানেও পরিস্থিতি আর আগের মতো নেই, চূড়ান্ত সতর্কতা মেনেই চালানো হচ্ছে ক্লাবগুলি।
লকডাউন ওঠার পর মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকেই খুলে দেওয়া হয় নাইট ক্লাবগুলি। কিন্তু করোনার আতঙ্কে মানুষ খুব বেশি যাচ্ছিলেন না সেখানে। দিন যত যাচ্ছে, আস্তে আস্তে ভিড় বাড়ছে। তবে সেখানেও কিছু নিয়ম মেনেই চালানো হচ্ছে ব্যবসা। নাইট ক্লাবগুলিতে কর্মীরা মাস্ক, গ্লাভস পরে কাজ করছেন।
সাংহাইয়ের এক নাইট ক্লাব ‘৪৪কেডব্লু’-র কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মানুষের ভিড় ধীরে ধীরে বাড়ছে। তাঁরা আসছেন, বসছেন, নাচছেন পরস্পরের সঙ্গে মেলামেশা করছেন, তবে সবই একটা দূরত্ব বজায় রেখে।
আরও পড়ুন: আত্মহ্ত্যা নয় খুন, তেলঙ্গানায় কুয়ো থেকে ন’টি দেহ উদ্ধারের ঘটনায় নয়া মোড়
ফের যাতে কোনও সমস্যা তৈরি না হয় তাই ক্লাবগুলিও বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে। শুধু কর্মীদের মাস্ক, গ্লাভস পরাই নয়, যে ভোক্তারা আসছেন তাঁদের দেহের তাপমাত্রা চেক করে, তাঁদের সম্পর্কে যা যা তথ্য নেওয়া প্রয়োজন নথিভুক্ত করেই ক্লাবে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। ক্রেতাদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়, তবে তাঁরা চাইলে পরতেই পারেন।
আরও পড়ুন: ভারতীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন দম্পতির হাত ধরে ‘জলের দরে’ ভেন্টিলেটর পেতে পারে ভারত
ক্লাবে কাচের বদলে প্লাস্টিকের গ্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে। গোটা ক্লাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে। সমস্ত দরজার হাতল ঘণ্টায় ঘণ্টায় জীবাণুমুক্ত করা হয়। ক্লাব খোলার আগে এবং বন্ধ হওয়ার পর পুরো জায়গাটি প্রতিদিন জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ভোক্তারাও এই সব ব্যবস্থায় ভরসা পাচ্ছেন। তাই দিনে দিনে নাইট ক্লাবগুলিতে ভিড় বাড়ছে, তবে সবই খুব সতর্কতা আর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে।