টোসুয়া পার্কার। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া।
এক দিকে চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসা কর্মীরা করোনার বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়ছেন। অন্য দিকে এমন কিছু মানুষ আছেন যাঁরা অন্যের মুখে খাবার তুলে দিতে, তাঁদের আশ্রয় দিতে নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে চলেছেন। এমনই এক জন আলাস্কার টোসুয়া পার্কার।
আলাস্কার প্রত্যন্ত এলাকার একটি ছোট্ট শহর গুস্তাভাস, সাকুল্যে বসবাস করেন ৫০০ জন। তাঁদের মুদিখানার মালপত্রের জন্য নির্ভর করে থাকতে হয় টোসুয়া পার্কারের সুপারমার্কেট ‘টসকো’-র উপর। পার্কারের সঙ্গে সেখানে কাজ করেন ১৪ জন কর্মচারি। পার্কারের সুপারমার্কেটে মালপত্রের জোগান আসে জুনো শহর থেকে। কিন্তু করোনার জেরে সেটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফলে গুস্তাভাস শহরের মানুষকে নিজের ব্যবস্থা নিজেকেই করতে হত। করোনাকে উপেক্ষা করে বাইরে বেরিয়ে রসদ সংগ্রহ করতে হত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা করতে হয়নি। এগিয়ে এসেছেন পার্কার।
বরফে ঢাকা আলাস্কার এই এই এলাকায় রাস্তা বলে কিছু নেই। যোগাযোগের মাধ্যম বলতে হয় প্লেন না হয় নৌকা। পার্কার প্রথমে তাঁর ছোট বিমান নিয়ে সুপারমার্কেটের জন্য মালপত্র কিনতে যেতেন জুনো-তে। কিন্তু সম্প্রতি সেই বিমান শহরে ফেরার পথে তুষার ঝড়ের কবলে পড়ে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত বিমানটি। এর পর একমাত্র উপায় হয়ে দাঁড়ায় জলপথ।
আরও পড়ুন: আলাস্কার সমুদ্রে ধরা পড়া এই প্রাণী কি ভিন গ্রহের?
নিজের শহরের মানুষের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও প্রতিবেশীদের আবদার মেটাতে পার্কারকে এখন প্রতি সপ্তাহে ১৪ ঘণ্টা করে বোট চালিয়ে জুনো শহরে পৌঁছতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে রাস্তা ‘অবরোধ’ এক দল জাতীয় পাখির!
সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে যদিও পার্কার জানিয়েছেন, “এটা আমাদের কাছে বড় বিষয় নয়। কারণ এখনকার মানুষ বাঁচার জন্য বেশির ভাগ জিনিস নিজেরাই জোগাড় করে নেন। আর যদি কোনও সমস্যা দেখা দেয়, আমরা তার জন্য অন্য কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকি না। নিজেরাই তা সমাধানের চেষ্টা করি। তাই এখন আমাদের যা করতে হচ্ছে, তাতে বেশ আনন্দই পাচ্ছি আমরা।”
পার্কারের সুপারমার্কেটের ফেসবুক পেজে এই সংক্রান্ত একাধিক ছবি পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে আবার বলাও হয়েছে, পর্যাপ্ত রসদের সরবরাহ আছে। তাই বেশি বেশি করে জিনিসপত্র কিনে রাখার কোনও প্রয়োজন নেই।
দেখুন সেই পোস্ট: