নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
একেই অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জেরে আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে সাউথ ব্লক। তার উপরে করোনভাইরাসের সংক্রমণে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে কূটনৈতিক দৌত্য। একের পর এক সফর বাতিল হওয়ার পর এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
প্রায় চার মাস আগে থেকে নির্ধারিত ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রাসেলস সফর। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের বহু প্রতীক্ষিত শীর্ষ বৈঠকটিতে এক দিকে দেশের ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার একটা সুযোগ পাওয়া যেত। ইউরোপ থেকে বিনিয়োগ টানা এবং ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্রে রফতানি বাড়ানো তাই আলোচ্যসূচির অন্যতম বিষয় ছিল। পাশাপাশি সিএএ এবং এনআরসি-র জেরে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে যে উষ্মা প্রকাশ্যে চলে এসেছিল, প্রস্তাবিত সফরে মুখোমুখি বসে তার নিরসন করার একটা সুযোগও ছিল নরেন্দ্র মোদীর সামনে। কিন্তু কবে এই সফর হবে তা আপাতত বিদেশ মন্ত্রকের জানা নেই।
পাশাপাশি পাঁচ বছর পরে বাংলাদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে গত সপ্তাহেই বলা হয়েছিল, দু’দেশের মধ্যে বন্দর এবং জলপথ ব্যবহার নিয়ে নতুন এক উদ্যোগ শুরু হতে চলেছে মোদীর ঢাকা সফরে। বঙ্গোপসাগর এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যা ভারতের কাছে বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত ভাবে লাভজনক। কিন্তু করোনা তাতে বাদ সাধল।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দৌত্য আটকে গিয়েছে করোনার জেরে। মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ বৈঠকে হাতে কলমে যেটুকু পাওয়া গিয়েছিল তা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেই। মার্কিন সমরাস্ত্র কেনা এবং অন্য ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয় শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে, তা বাস্তবায়িত করতে ১৪ মার্চ ভারতে আসার কথা ছিল আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পারের। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সহযোগিতা বাড়ানো নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি আফগানিস্তানে তালিবানের সঙ্গে মার্কিন শান্তি চুক্তি পরবর্তী পরিস্থিতি ও সেখানে ভারতের ভূমিকা নিয়েও আলোচনার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু বাতিল হয়েছে সফর।