International News

‘কলকাতা থেকে পড়তে এসে আটকে পড়েছি ইটালিতে, আমাদের বাঁচান!’

ইটালির ফ্লোরেন্সে গবেষণা করেন। বহু চেষ্টা করেও ভারতে ফিরতে পারছেন না। তাঁর মতো আরও অনেকেই আটকে পড়েছেন। লিখলেন তনয় কুমার দে।

Advertisement

তনয় কুমার দে

ফ্লোরেন্স, ইটালি শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২০ ২০:৩৪
Share:

ইটালির বিমানবন্দরে আটকে পড়া ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে তনয় (চিহ্নিত)। —তনয়ের পাঠানো ছবি

আমি দক্ষিণেশ্বরের ছেলে। ইটালির ফ্লোরেন্সে পিএইচডি করছি। দেশে ফেরার জন্য গত ১১ মার্চ এয়ার ইন্ডিয়ার একটা টিকিট কেটেছিলাম। কিন্তু, রোম থেকে আমাকে বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি। কারণ, আমার কাছে ‘করোনা নেগেটিভ’ সার্টিফিকেট ছিল না। শুধু আমি নই, অন্য অনেক ভারতীয়কেই বিমানে উঠতে দেননি কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দরে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল আমাদের। ভারতীয় দূতাবাসের তরফে আমাদের জানানো হয়, দেশ থেকে একটা মেডিক্যাল টিম আসছে। ওই টিমের কাছে আমাদের লালারসের নমুনা দিতে হবে। সেই নমুনা ভারতে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করে তার ফল জানানো হবে। গোটা এই প্রক্রিয়ায় দিন সাতেক সময় লাগবে বলে জানানো হয়। তাই বাধ্য হয়ে আমি রোম থেকে ফ্লোরেন্সে ফিরে এলাম। আমার মতো আরও অনেকে রোমেই অস্থায়ী ভাবে থাকার ব্যবস্থা করে নিয়েছেন। কাউকে আবার ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে সাহায্য করা হয়।

Advertisement

অবশেষে ভারতের সেই চিকিৎসকদের দল ইটালিতে এল। ১৩ ও ১৪ মার্চ আমাদের নমুনা সংগ্রহ করল। আমি নমুনা দিয়েছি ১৪ মার্চ। ফলে ইতালির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেককে রোমের ভারতীয় দূতাবাসে যেতে হল। এর মধ্যে আবার ভারত সরকার এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান পাঠাল মিলানে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, ওখানকার পড়ুয়াদের কোনও পরীক্ষা না করেই ভারতে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আবার এমনও হয়েছে যে, ১৩ এবং ১৪ তারিখে অন্য সংস্থার বিমানে রোম থেকে যাত্রীদের উঠতে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, আমরা এখানে আটকে আছি। আমাদের নমুনা পরীক্ষার ফল জানার অপেক্ষায় রয়েছি।

আমরা এখনও ইটালিতে আটকে আছি। সরকার যে যে নির্দেশিকা দিয়েছে, সেগুলো সব মেনে চলছি। কিন্তু আমাদের ভারতে ফেরানোর বিষয়ে কোনও আপডেট নেই। এমনকি, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দফতর, বিদেশ মন্ত্রক, অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক, স্বাস্থ্য মন্ত্রক, এয়ার ইন্ডিয়া, ডিজিসিএ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে টুইট করেছি। কিন্তু কোনও সাড়া নেই। আমরা ভারতীয়। দয়া করে আমাদের বাঁচান। দয়া করে সাহায্য করুন। আমরা সবাই দেশে ফিরতে চাই। আমরা ভারতে গিয়ে কোয়রান্টিন থাকতেও প্রস্তুত।

Advertisement

আরও পড়ুন: রাজ্যে জারি মহামারী আইন, ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ

আরও পডু়ন: ভোট পিছনোয় আপত্তি না করেও সরকার-কমিশনকে তোপ বিরোধীদের

লেখক ফ্লোরেন্সে আইএফএসি-সিএনআর-এ গবেষণারত ভারতীয় ছাত্র

বিশ্বের কোথাও আপনি করোনা-সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্যায় পড়েছেন, আমাদের ই-মেল করে জানান।

feedback@abpdigital.in

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement