ব্রিটেনের হাসপাতালে চলছে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা। ছবি- এএফপি।
করোনাভাইরাসের হামলায় মৃত্যুর সংখ্যায় ইটালিকে ছাপিয়ে গেল ব্রিটেন। কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃত্যুর নিরিখে এতদিন ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে শীর্ষে ছিল ইটালি। ইটালিকে টপকে সেই স্থান নিল ব্রিটেন। ব্রিটেনের বিদেশ সচিব ডমিনিক রব একে ‘ম্যাসিভ ট্রাজেডি’ বলে উল্লেখ করেছেন।
জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড মেডিসিনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, করোনার থাবায় ইটালিতে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৩১৫ জনের। ব্রিটেনে সেই সংখ্যা ২৯ হাজার ৫০১। এর পরেই রয়েছে স্পেন ও ফ্রান্স। কোভিড-১৯ সংক্রমণে স্পেনে এখনও অবধি মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ৬১৩ জনের। ফ্রান্সে ২৫ হাজার ৫৩৭ জনের।
যদিও করোনার ভাইরাসে আক্রান্তের নিরিখে ইউরোপের শীর্ষে স্পেন। সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দু’লক্ষ ১৯ হাজার ৩২৯ জন। তার পরই ইটালি। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা দু’লক্ষ ১৩ হাজার ১৩। মৃত্যু নিরিখে ইউরোপে সর্বোচ্চ হলেও ব্রিটেনে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৬ হাজার ২৪৩।
মঙ্গলবার সংবাদিক সম্মেলনে ডমিনিক রব বলেছেন, ‘‘অতিমারিকে কোন দেশ কেমন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করল তা নির্ণয় করার সময় এখনও আসেনি। অতিমারির কবল থেকে পুরোপুরি মুক্ত হওয়ার পরই বিষয়টি বোঝা যাবে।’’ করোনার জেরে ব্রিটেনে যে বিশাল সংখ্যক মৃত্যু হল তা আগে কোনওদিন হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। ব্রিটেনে এখন পর্যন্ত ১৩ লক্ষ ৮০ হাজার জনের টেস্ট করানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রব। সোমবারেই টেস্ট হয়েছে ৮৪ হাজার ৮০০ জনের। তাঁদের মধ্যে চার হাজার ৪০৬ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে ডমিনিক রব। ছবি- এএফপি।
করোনার হানায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশের অবস্থা বেশ টালমাটাল। সারা বিশ্বে ৩৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ৮২৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন কোভিডে। মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছেছে ২ লক্ষ ৫৭ হাজার ২৮৮তে। এর মধ্যে আমেরিকাতে মৃত্যু হয়েছে সর্বাধিক। সেখানে করোনা প্রাণ কেড়েছে ৭১ হাজার ৭৮ জনের।
আরও পড়ুন: দ্রুত প্রতিষেধক উৎপাদনে যৌথ উদ্যোগ ব্রিটেনে
আরও পড়ুন: অবাধ জিপিএস তথ্য দেবে না, জানাল গুগল-অ্যাপল