ছবি: রয়টার্স।
টিকা নয়, এ হল ‘অমৃতের পাত্র’! আর তার অপেক্ষায় ব্যগ্র কয়েকশো কোটি মানুষ। কিন্তু এরকম কিছু আশা করে থাকলে, তা যে ভুল হবে, তা মনে করিয়ে দিলেন রয়্যাল সোসাইটির গবেষকেরা। একটি রিপোর্টে তাঁদের বক্তব্য, ‘‘আমাদের একটু বাস্তবসম্মত ভাবে ভাবতে হবে, একটা ভ্যাকসিনে কী হতে পারে এবং তা কখন হতে পারে।’’
গোটা বিশ্বে এখন ২০০-রও বেশি করোনার টিকা তৈরির কাজ চলছে। গবেষণা হচ্ছে রেকর্ড গতিতে। ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডনের ‘ন্যাশনাল হার্ট অ্যান্ড লাং ইনস্টিটিউট’-এর ফিয়োনা কালি বলেন, ‘‘এই অতিমারিকে শেষ করতে সম্ভাব্য ভ্যাকসিনগুলিকে ঘিরে প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু যদি অতীতের দিকে ফিরে তাকান, তা হলে দেখবেন, ভ্যাকসিন নিয়ে বহু গবেষণা ব্যর্থ হয়েছে।’’ রয়্যাল সোসাইটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ সরকারের বিজ্ঞান উপদেষ্টারাও বলছেন, ‘‘এ বছরের শেষেই হয়তো ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়ে যাবে। সামনের বছরেই হয়তো গণ-টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু সবটা শেষ করা, একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া।’’ অর্থাৎ, টিকা আবিষ্কার হলেই ‘ভ্যানিশ’ হয়ে যাবে না করোনাভাইরাস।
ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডনের এক অধ্যাপক নিলয় শাহ বলেন, ‘‘ভ্যাকসিন বাজারে চলে এলেই যে এক মাসে সবাই টিকা নিয়ে নিতে পারবেন, এমন নয়। ছ’মাস, ন’মাস... এক বছরও লেগে যেতে পারে। এমন কখনই হবে না যে, হঠাৎ সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে গেল।’’ তা ছাড়া, ভ্যাকসিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের অভাব রয়েছে। টিকা আবিষ্কার হলে, তা দিতে প্রচুর সংখ্যায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীও লাগবে।
আরও পড়ুন: আজারবাইজানকে পরমাণু-হুমকি আর্মেনিয়ার, পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ নয়াদিল্লির
আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানকে বিশ্বাস করি না, তাই ওসামা-অভিযানের কথা জানাইনি’, বললেন প্রাক্তন
ওই রিপোর্টের সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য বক্তব্য— ‘করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগে দীর্ঘমেয়াদি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মাবে কি না, তা জানা নেই। সে ক্ষেত্রে হয়তো কয়েক বছর অন্তর নিয়ে যেতে হবে টিকা।’ তবে এ সবের উত্তর দিতে পারে একমাত্র সময়।