কোভিড-টিকা আবিষ্কারের পাশাপাশি তা উৎপাদনের উপরেও জোর দিচ্ছে চিন সরকার। প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি না হলেও তা উৎপাদনের জন্য জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু করেছে চিন। আগামী বছরেই ১০০ কোটিরও বেশি কোভিড-প্রতিষেধকের ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে শি চিনফিং সরকার। সে জন্য সরকারি সহায়তায় দ্রুতগতিতে তৈরি করা হচ্ছে প্রতিষেধক তৈরির নতুন কারখানা। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছে চিনের ন্যাশনাল হেল্থ কমিশন (এনএইচসি)।
এনএইচসি-র আশা, চলতি বছরেই ৬১ কোটি কোভিড-টিকা তৈরি করে ফেলতে পারবে চিন। পাশাপাশি, ২০২১-এর বাৎসরিক লক্ষ্যমাত্রাও স্থির করে ফেলেছে চিনের ক্যাবিনেট স্তরের ওই এগ্জিকিউটিভ ডিপার্টমেন্ট। গত কাল এনএইচসি-র ডিরেক্টর জেনারেল ঝেং ঝংওয়েই বলেন, “আগামী বছর ১০০ কোটিরও বেশি কোভিড-১৯ টিকার ডোজ উৎপাদনের ক্ষমতা হবে আমাদের।”
এই মুহূর্তে চিনে মোট ১১টি টিকা তৈরির কাজ চলছে। প্রতিটিরই মানবদেহে পরীক্ষা চলছে বলেও জানিয়েছে এনএইচসি। তার মধ্যে চারটি টিকার কাজ তৃতীয় এবং শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঝেং। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই চারটি টিকার মধ্যে সিনোভ্যাকের তৈরি টিকা করোনাভ্যাক ইতিমধ্যেই উৎপাদনের শেষ পর্যায়ে। ঝেং-এর দাবি, গত জুনেই ক্নিনিক্যাল ট্রায়ালে পরীক্ষামূলক টিকা ব্যবহারের জন্য সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড হেল্থ ওর্গানাইজেশন (হু)। ইতিমধ্যেই তা স্বাস্থ্যকর্মী, অতিমারি নিয়ন্ত্রণে যুক্ত কর্মী-সহ অভিবাসন দফতরের কর্মীদের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৯১৮! ‘দ্বিতীয় ঢেউ’-এর স্মৃতিতে সিঁটিয়ে আমেরিকা
কোভিড-টিকা আবিষ্কারের পাশাপাশি তা উৎপাদনের জন্যও কারখানা তৈরির উপরে জোর দিচ্ছে চিন সরকার। গোটা বিষয়ে নজরদারির জন্য বেসরকারি সংস্থারগুলিকেও নিযুক্ত করেছে চিন।
আরও পড়ুন: চ্যাট করেছি, ড্রাগ নিই না, জেরায় বললেন দীপিকা!
চিনের মতোই আমেরিকার ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজার এবং মডার্নাও ১০০ কোটি কোভিড-টিকা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগচ্ছে। পাশাপাশি, কোভিড-টিকা বাজারে এলেই তা যাতে সাধারণের হাতে পৌঁছয়, সে জন্য বিশ্বের দেড়শোরও বেশি দেশে হু-র তত্ত্ববধানে গ্লোবাল অ্যাকসেস ফেসিলিটি গড়ে তোলা হয়েছে।