প্রতীকী ছবি।
বৃদ্ধা মায়ের সর্দি-জ্বর। লকডাউনের রাতে এক ছেলে, দুই মেয়ে ও এক জামাই মিলে ডাক্তার দেখানোর নাম করে জঙ্গলে ফেলে দিয়ে এল তাঁকে।
গভীর রাতে তাঁর কান্না শুনে স্থানীয় মানুষ প্রশাসনকে খবর দেন। দেড়টা নাগাদ তাঁকে উদ্ধার করা হয়। করোনার উপসর্গ থাকায় অ্যাম্বুল্যান্সে করে পাঠানো হয় ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে বেড না-থাকায় বৃদ্ধাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃদ্ধার বাড়ি শেরপুরের নালিতাবাড়িতে। ছেলেমেয়েরা ঢাকার উপকণ্ঠে গাজিপুরের সালনায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে। বৃদ্ধার সর্দি-কাশি হওয়ার পরে পড়শিরা তাঁকে সরিয়ে দিতে ছেলেমেয়েদের উপরে চাপ দিতে থাকে। সোমবার রাতে একটি পিকআপ ভ্যান ভাড়া করে তাতে মাকে চড়িয়ে সখিপুরের জঙ্গলে বসিয়ে দিয়ে যায় ছেলেমেয়েরা। তার পরে সকলে গ্রামের বাড়িতে চলে যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ২০ লক্ষ
উপজেলা অধিকর্তা আসমাউল হুসনা লিজা বলেছেন, “সন্তানদের অবিশ্বাস করেননি অসুস্থ মা। কিন্তু রাত বাড়লে ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন। নিজের মায়ের সঙ্গে এমন আচরণ ছেলেমেয়েরা করতে পারে!”
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)