ছবি পিটিআই।
গত বৃহস্পতিবার শহরে খাদ্যসামগ্রীর বৃহত্তম পাইকারি বাজার থেকে দ্বিতীয় দফার কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়ানোর পরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতির মোকাবিলায় নেমেছে বেজিং। আজও ২৭টি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। তার পরেই পুর কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতি জারি করে বলেছেন, ‘‘পাঁচ দিনে মোট ১০৬টি সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে। পরিস্থিতি খুবই গুরুতর।’’
নোভেল করোনাভাইরাসের উৎসস্থল চিনেরই উহান শহর। তবে সামগ্রিক ভাবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে এই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দিতে সক্ষম হয়েছিল চিন। এ বছর জানুয়ারি মাসে বিশ্বে সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে এক নম্বর ছিল চিন। কিন্তু উহানের বাইরে সংক্রমণ বিশেষ ছড়াতে না-দিয়ে এখন তারা সংক্রমণের নিরিখে ১৯ নম্বর ও মৃত্যুর নিরিখে ১৮ নম্বর স্থানে।
এরই মধ্যে খাস রাজধানীতে নতুন সংক্রমণ চিন্তায় ফেলে দিয়েছে প্রশাসনকে। ইতিমধ্যেই ৩০টি আবাসন এলাকাকে পুরোদস্তুর সিল করে দেওয়া হয়েছে। পুর প্রশাসন জানিয়েছে, দিনে ৯০ হাজার পরীক্ষা করা হচ্ছে শহরে। প্রতিটি বাজারে খাদ্যসামগ্রীর দোকানের মালিক, ম্যানেজার ও কর্মচারীদের কোভিড পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষা করা হবে সব রেস্তরাঁ কর্মী ও সরকারি ক্যান্টিনের কর্মীকেও। সোমবার থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্ডোর খেলাধুলো ও বিনোদনের সব জায়গা। আজ থেকে ট্যাক্সি পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। নির্দেশ জারি করা হয়েছে, বেজিং থেকে দেশের অন্য কোথাও গিয়েছেন যাঁরা, তাঁদের কারও করোনা-উপসর্গ দেখা দিলে তাঁরা যেন অবিলম্বে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
আরও পড়ুন: চিহ্নিতই করা নেই সীমান্ত, সঙ্ঘাতের বীজ ৩ হাজার ৩৮০ কিমি জুড়ে
বেজিংয়ে ফের করোনা সংক্রমণ ফিরে আসায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। প্রায় ৫০ দিন পরে বেজিংয়ে নতুন সংক্রমণের খোঁজ মিলল। এই ভাইরাসের জিনঘটিত ক্রমবিবর্তন সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার জন্য আজই হু চিনকে ফের আর্জি জানিয়েছে। এক দল চিনা গবেষক দাবি করেছিলেন যে, তাঁদের পরীক্ষায় উঠে এসেছে এই ভাইরাসের উৎসস্থল ইউরোপ। সেই গবেষণা সম্পর্কেও জানতে চেয়েছে হু।
আরও পড়ুন: ‘আমরা ঘুমোলে ভাইরাসও ঘুমিয়ে পড়ে’, পাকিস্তানে নেতার বক্তব্য শুনে হাসির রোল সোশ্যাল মিডিয়ায়
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমেরিকায় কোভিড-১৯-এ মৃতের সংখ্যা (১,১৬,৫২৬) প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মৃত মার্কিনের সংখ্যা (১,১৬,৫১৬) ছাড়িয়ে গেল।
২৪ দিন পরে ফের করোনা সংক্রমণ নিউজিল্যান্ডে। সংক্রমিত হয়েছেন দুই মহিলা। মৃত্যুপথযাত্রী আত্মীয়কে দেখতে বিশেষ অনুমতি নিয়ে দিন কয়েক আগেই ব্রিটেন থেকে নিউজিল্যান্ড এসেছিলেন তাঁরা।