বিশ্ব জুড়ে ক্রমেই ভয়াল হচ্ছে করোনা-পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত প্রায় বাইশ লক্ষ মানুষ। প্রাণ হরিয়েছেন অন্তত দেড় লক্ষ মানুষ। হু বলছে, এই পরিস্থিতিতে মাস্ক-ই অন্যতম বাঁচার উপায়। নানা দেশে আসল মাস্কের বদলে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন বিকল্পের ব্যবহার। উগান্ডার রাজধানী কাম্পালার এই তরুণ মুখ ঢেকেছেন অভিনব মুখোশে।
আমেরিকায় ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ। এখন সে দেশে এই রোগে যা মৃত্যুহার, এর আগে কখনও সে রকম হয়নি। ইংল্য়ান্ডে আক্রান্ত প্রায় ১ লাখ ৯০০ জন। প্রাণ হারিয়েছেন সাড়ে চোদ্দ হাজারের বেশি মানুষ। সে দেশের ওয়েস্ট মিনস্টার শহরে এক যুবককে দেখা গেল মাস্ক-কে সুরক্ষিত বানাতে এই পন্থা নিয়েছেন।
চিনের উহানে আবার এক জন আস্ত প্লাস্টিককেই পরে নিয়েছেন মুখে। ভাইরাস থেকে বাঁচতে ওটাই তাঁর আবরণ। টানা ৭৬ দিন তালাবন্দি থাকার পরে গত সপ্তাহে লক ডাউন উঠেছে এই শিল্পশহরে। করোনাভাইরাসের সূত্রপাতে এটাই ছিল রোগের ভরকেন্দ্র।
ব্রাজিলের ফ্যাশন ফটোগ্রাফার মার্সিয়ো রডরিগস রিসাইকল করা যায় এমন প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে মুখোশ বানিয়ে ঢেকেছেন মুখ।
এই তরুণী আবার সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক বিকল্পকেই বেছে নিয়েছেন। গাছের বড় পাতা তাঁর মুখের আবরণ।
খুদে বৌদ্ধ শ্রমণরা সাধারণ মাস্কের উপরে আলাদা বর্মে ঢেকেছে নিজেদের মুখমণ্ডল।
এই যুবক আবার দু’টি ছিদ্র ছাড়া পুরোটাই মাস্ক-ই নিশ্ছিদ্র করে রাখতে চান। তাই চোখের জন্য দু’টি ছিদ্র ছাড়া বাকি মুখ ঢাকা বাঁধাকপির খোসায়।
ফ্যাশন সচেতন এই তরুণী মাস্কেও দিয়েছেন কেতার ছোঁয়া।
ফ্রান্সের তরুণী অ্যানিসা মেকরাবেশ এই মাস্ক বানিয়েছিলেন মূক ও বধিরদের জন্য। সেটাই পরেছেন তিনি নিজেই।
তাইল্যান্ডের মাছের বাজারে এই দুই তরুণীও মুখ ঢেকেছেন দু’ভাবে। প্রথমত মাস্কে। তাতেও নিশ্চিত না হয়ে গোটা মুখকেই ঢেকে আছে স্বচ্ছ বর্ম।
ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলার এই তরুণ জলের পাত্রকেই মুখোশে রূপান্তরিত করেছেন।
শুধু মুখ নয়। ইনি আবার ঢেকে ফেলেছেন নিজের মাথা এবং রোদচশমা পরা চোখও।
পৃথিবী জুড়ে অতিমারি ভয়াবহতার মধ্যেও ইনি নিজের মুখোশকে সাজিয়েছেন মনের মতো করে চিত্রবিচিত্র করে।
সাধারণ কাপড় দিয়েই তৈরি সুরক্ষার বর্ম। তাতেই নিজেকে আড়াল করে রেখে করোনাযুদ্ধে জয়ী হতে চান তিনি।
এই যুবক আবার মুখোশকে সাজিয়েছেন ডুবুরির পোশাকের মতো করে।
যে করোনাভাইরাস থেকে এত আতঙ্ক, তার চেহারাকেই মাস্কে ধারণ করেছেন এই যুবক। এখনও মানুষ জানেন না, আরও কত দিন মাস্ক রয়ে যাবে পোশাকের অংশ হিসেবে। তাই সেই মুখোশকেই চলছে সাজিয়ে নেওয়ার পর্ব।