পিপিই একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া যায়। কিন্তু নার্সদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়। বর্মবস্ত্র না-পেয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের বিক্ষোভ ওয়াশিংটনে। এএফপি
আজ ব্রিটেন, তো কাল রাশিয়া। করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য প্রতিষেধক আবিষ্কারের দৌড়ে একটু একটু করে আশার আলো দেখাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। কেউ বলছে, তাদের গবেষণা প্রথম পর্বে সফল তো কোনও দেশ ইতিমধ্যেই বাকি দু’টো ধাপ পেরিয়ে পৌঁছে গিয়েছে শেষ পর্যায়ে। কিন্তু সাধারণ মানুষের হাতে কবে পৌঁছবে সেই টিকা?
বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) জরুরি বিভাগের শীর্ষকর্তা মাইক রায়ান জানান, ২০২১ সালের প্রথম ভাগের আগে প্রতিষেধক সাধারণের হাতে আসবে বলে মনে হয় না। এ দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের গবেষণা জোরকদমে এগোচ্ছে। বেশ কয়েকটি তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে পৌঁছে গিয়েছে। সুরক্ষা বা শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে এখনও পর্যন্ত কোনওটি ব্যর্থ হয়নি। তবু সকলের জন্য টিকা পেতে হয়তো সামনের বছরের শুরুর দিক পর্যন্ত সময় লেগে যাবে।’’ রায়ান জানান, প্রতিষেধক আবিষ্কারের পরে তা সমবণ্টনের বিষয়টি হু গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এ বিষয়ে আমাদের স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই হবে... এই অতিমারির প্রতিষেধক ধনীদের জন্য নয়, গরিবদের জন্যেও নয়। এই আবিষ্কার সকলের জন্য।’’
করোনা সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বের শীর্ষে এখন আমেরিকা। একটি মার্কিন ও জার্মান ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা জানিয়েছে, প্রতিষেধক বাজারে এলেই তার ১০ কোটি ডোজ় কেনার জন্য আগাম বরাত দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকায় স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়েও সতর্ক করেছেন রায়ান। গোষ্ঠী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না-আসা পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখাই নিরাপদ বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: লালগ্রহের পথে পাড়ি দিল চিনের ‘সত্যান্বেষী’
গত বছর ডিসেম্বরে চিনে শুরু হওয়া করোনা সংক্রমণের শিকার বিশ্বের অন্তত দেড় কোটি মানুষ। মৃত্যু ছাপিয়েছে ছয় লক্ষ। যার জেরে জোর ধাক্কা খেয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। মুখ থুবড়ে পড়েছে ভ্রমণ ও উড়ান সংস্থাগুলি। এই পরিস্থিতিতে বিমানযাত্রায় উৎসাহ দিতে যাত্রীদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির উড়ান সংস্থা এমিরেটস। বৃহস্পতিবার তারা জানিয়েছে, যাত্রীরা সফরের পরে কোভিড আক্রান্ত হলে তাঁদের চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ ইউরো এবং ১৪ দিন কোয়রান্টিনে থাকলে, দিন প্রতি ১০০ ইউরো পর্যন্ত দেওয়া হবে। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত যাত্রীরা এই সুবিধা পাবেন বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার ত্রাণ দিতে গিয়ে জঙ্গিদের হাতে খুন, হল ভিডিয়োও
চিলিতে জুন মাসে সংক্রমণ তুঙ্গে ওঠার পরে এখন তা নিয়ন্ত্রণে। ফলে এ বছরের শেষে শপিং মল, বাস টার্মিনাল, বিমানবন্দর খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। তার জন্য কিছু পুলিশ কুকুরকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। চিলির পুলিশের দাবি, জনবহুল স্থানে করোনা সংক্রমিতদের খুঁজে বার করতে কুকুরগুলিকে কাজে লাগানো হবে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর ক্যানসার বা ম্যালেরিয়া রোগীদের চিহ্নিত করতে পারলেও, করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে তা সম্ভব কি না প্রমাণিত হয়নি।