প্রতীকী ছবি।
আমেরিকার পুলিশ কর্মীদের বোকা বানিয়ে দিনের পর দিন পকেট ভারি করছিলেন পুলিশ বিভাগের এক পদস্থ কর্তা। কখনও ঋণ চেয়ে কখনওবা তাঁর নতুন সংস্থায় বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়ে সহকর্মীদের তিনি ঠিক রাজি করিয়ে নিতেন তাঁকে টাকা দেওয়ার ব্যাপারে। এ ভাবেই একটু একটু করে চেয়েচিন্তে ১ কোটি ১ লক্ষ ডলার জমা করে ফেলেছিলেন আমেরিকার ডজ কাউন্টির অধুনা প্রাক্তন ডেপুটি শেরিফ ক্রেগ হারবফ। পদাধিকার বলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর যোগাযোগও কাজে লেগেছিল অর্থ সংগ্রহে। ছিল ১২টি ভুয়ো সংস্থার বিশ্বাসযোগ্য কাগজপত্রও। ফলে কেউ ভাবতেও পারেননি উচ্চপদস্থ পুলিশকর্মী ক্রেগ এভাবে ফাঁকি দিতে পারেন। ফাঁকি যে দিয়েছেন, তা নিজেই স্বীকার করলেন ক্রেগ।
৫০ বছরের প্রাক্তন ডেপুটি শেরিফ গত সপ্তাহেই নেব্রাস্কার ফেডারেল আদালতে জানিয়েছেন, এতদিন তিনি যা যা করছেন তার পুরোটাই ছিল একটা প্রতারণা চক্র। তাঁর কুকর্ম ফাঁস হওয়ার পর এক সহকর্মীর কাছে তিনি আফশোস করে বলেছেন, তিনি ‘‘দায়িত্বজ্ঞানহীন, অনৈতিকতা, অপরাধ এবং স্বার্থের পথে’’ হাঁটছিলেন। আদালতেও ক্রেগের আফশোস, ‘‘এখন মনে হচ্ছে আমি যদি অতীতে ফিরতে পারতাম, আমার সব ভুল শুধরে নিতাম আমি। কিন্তু এখন আমি শুধুই তোমাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করতে পারি।’’
প্রতারণা করে নেওয়া কোটি ডলার ক্রেগ কোথায় খরচ করেছেন, তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে ডজ কাউন্টির ইতিহাসে এত বড় ব্যক্তিগত প্রতারণার ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি বলে জানিয়েছে নেব্রাস্কার পুলিশ। সোমবার আদালতে প্রতারণা চক্রে নিজের দোষ স্বীকার করার পর ক্রেগের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা খারিজ করে দিয়েছে ফেডারেল কোর্ট। তবে ক্রেগের সাজা ঘোষণা করেনি আদালত। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে ক্রেগকে গ্রেফতার করা হয়। ক্রেগের প্রতারণা চক্রের শিকার এক বৃদ্ধ দম্পতি জানিয়েছেন, দোষীর যে সাজাই হোক তাঁরা তাঁদের ৪৬ লক্ষ ডলার ফেরত পেলেই খুশি হবেন।