প্রতীকী ছবি।
অফিসের ডেস্কে চূড়ান্ত ব্যস্ততা। কম্পিউটারে চোখ রাখার ফাঁকে ফাঁকেই কর্মচারীরা সেরে ফেলছেন লাঞ্চ কিংবা ডিনার। আমেরিকা বা ভারতে এই দৃশ্য হামেশা দেখা গেলেও, ফ্রান্সে তা আইন করে নিষিদ্ধ। তবে বর্তমানে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রচলিত সেই রীতিতেও এ বার বদল আনতে চলেছে সরকার। কাজের ডেস্কে বসে একা একাই খাওয়া-দাওয়া সেরে ফেলার দাওয়াই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ফরাসি শ্রম মন্ত্রক জানায়, এ বিষয়ে শীঘ্রই নয়া নির্দেশিকা চালু হবে।
ফ্রান্সে খাওয়া-দাওয়ার পর্বটা শুধুমাত্র পেট ভরানোর মধ্যে সীমিত নয়। রাস্তার ধারের ফাস্টফুড হোক বা দামি রেস্তরাঁর মোমবাতি-শোভিত টেবল, খানাপিনা এ দেশে সামাজিক অভিজ্ঞতার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গল্প-আড্ডা ফরাসি ভোজের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। একসঙ্গে টেবলে জমিয়ে খাওয়ার সেই দিনগুলো করোনার কবলে অতীত হতে চলেছে। করোনার কারণে এমনিতে ফ্রান্সে এখন সন্ধে ৬টা থেকে রাতকার্ফু চালু হয়ে যাচ্ছে। অফিসের ডেস্কে বসে খাওয়ার নিয়ম চালু হলে ফরাসি ভোজ-ঐতিহ্যে বড়সড় ধাক্কা লাগবে।
ফ্রান্সে শ্রমআইন বেশ কড়া। পুঁজিপতি মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে কর্মচারীদের অতিরিক্ত খাটিয়ে নেওয়ার প্রবণতা রুখতে গত শতাব্দীতে আইন করে কাজের টেবলে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করা হয়েছিল। অতিমারির দাপটে সেই আইন বদলে যেতে চলেছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, করোনা এড়াতে আপাতত নিজের ডেস্কে বসে, অন্তত দু’মিটার দূরত্ব বজায় রেখে একা একাই খাওয়া-দাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।