—ফাইল চিত্র।
কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে সেনা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এক মেজরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন শাসক দল আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল কাদের। তবে তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনভিত্তি এত দৃঢ় যে, এই চক্রান্ত সফল হবে না।
আজ সাংবাদিক বৈঠকে কাদের বলেন, “একটি অশুভ চক্র নানান গুজব রটনা ও অপপ্রচারে লিপ্ত। সাবেক সেনা সদস্য মেজর রাশেদের মর্মান্তিক ঘটনাকে ঘিরে কেউ কেউ দুই (পুলিশ ও সেনা) বাহিনীর মধ্যে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই ঘটনাকে ব্যবহার করে সরকার হটানোর মতো দিবা-স্বপ্ন দেখছে কেউ কেউ।” দেশ-বিদেশের সব বাংলাদেশিকে গুজব সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক জানান, দ্রুত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ২১ পুলিশকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
গত শুক্রবার টেকনাফ থেকে কক্সবাজারের দিকে আসার সময়ে একটি চেক পোস্টে পুলিশের গুলিতে মারা যান অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার সিনহা রাশেদ। পুলিশের দাবি, তল্লাশির জন্য তাঁর গাড়ি থামানো হলে সেনা-পোশাক পরা রাশেদ নিজেকে সেনা সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে বাধা দেন। কর্তব্যরত পুলিশের বুকে রাশেদ পিস্তল তাক করলে অন্য এক পুলিশ তাঁকে গুলি করেন। পুলিশের দাবি, গাড়ি থেকে বহু মাদক ও একটি পিস্তল মিলেছে। কিন্তু রাশেদের পরিবার অভিযোগ করে, সাজানো সংঘর্ষে তাঁকে খুন করেছে পুলিশ। বুধবার যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং পুলিশের আইজি বেনজির আহমেদ জানান, দুই বাহিনীর মধ্যে কোনও ভুল নেই। রাশেদের ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন। তবে, বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের দাবি, এই ঘটনা নিয়ে ইউটিউব এবং ফেসবুকে একটি মহল সেনা ও সরকারের বিরুদ্ধে ঢালাও অপপ্রচারে নামায় মনে হচ্ছে, এর পিছনে একটি সংগঠিত মাথা রয়েছে।