ছবি - রয়টার্স
বিপুল ভোটে জিতে গত কালই ইরানের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছেন অতিরক্ষণশীল কট্টরপন্থী ধর্মীয় নেতা ইব্রাহিম রাইসি। দেশের নির্বাচনী অফিসারেরা জানিয়েছিলেন ১.৭৮ কোটি ভোট পড়েছে রাইসির পক্ষে। কিন্তু দেশবাসীর একাংশই এই নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ভোটারদের একটা বড় অংশ গত শুক্রবার ভোটই দিতে যাননি। অবশেষে রাইসির এই জয় নিয়ে মুখ খুলেছে আমেরিকাও। জো বাইডেন প্রশাসন গত শুক্রবারের এই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, ইরানের সাধারণ মানুষের স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচনে অংশ না নিতে পারাটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
তবে হোয়াইট হাউসের ওই মুখপাত্র একই সঙ্গে জানিয়েছেন, ইরান পরমাণু চুক্তিতে ফেরার বিষয়ে ভবিষ্যতে কথা চালিয়ে যেতে আগ্রহী তাঁরা। প্রাক্তন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসে তেহরানের উপরে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিলেন। ক্ষমতায় আসার পরপরই সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে ফের চুক্তি নিয়ে সদর্থক আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছেন বাইডেন। কট্টরপন্থী রাইসি ইরানে ক্ষমতায় আসার পরেও তাঁর প্রশাসন সেই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত এখনও দেয়নি। তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে তারাও যে অসন্তুষ্ট, সে কথা চেপে রাখেননি বাইডেন প্রশাসনের মুখপাত্র। তাঁর কথায়, ‘‘অবাধ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের নেতা বাছার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলেন ইরানের সাধারণ মানুষ।’’ বিরোধীদের অভিযোগ, রাইসিকেই প্রেসিডেন্টের গদিতে বসাতে শেষ মুহূর্তে বহু যোগ্য প্রার্থীকে বৈধ কোনও কারণ ছাড়াই নির্বাচনে লড়া থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করেছেন দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়া তোল্লা খামেনেই। খামেনেইয়ের পরে তাঁর পদেও রাইসি-ই বসবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবশ্য আজ ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন। টুইটারে মোদী লিখেছেন, ‘ইসলামিক রিপাবলিকান অব ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত ইব্রাহিম রাইসিকে অভিনন্দন। দু’দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য ওঁর সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রইলাম।’’
রাইসির জয় নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইজ়রায়েলও। টুইটারে সে দেশের বিদেশমন্ত্রী ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিশ্বের বাকি দেশগুলিকে সতর্ক করেছেন।