জো বাইডেন এবং শি চিনফিং।
সম্পর্কের বরফ গলাতে উদ্যোগ নিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সরাসরি চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংকে ফোন করলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার শি-র সঙ্গে কথা হল বাইডেনের। শি-কে তাঁর বার্তা, “সুস্থ প্রতিযোগিতা ভাল। কিন্তু সেই প্রতিযোগিতা যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিণত না হয়।”
হোয়াইট হাউস থেকে এর পরই এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ‘দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলোচনাতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে।’ তবে কোন কোন বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মূলত বাণিজ্য এবং বিদেশনীতির উপরই আলোচনা হয়ে থাকতে পারে। আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় চিনের সঙ্গে এই দু’টি নীতিই ধাক্কা খেয়েছিল। এ বার সেটাকেই শুধরানোর জন্য বাইডেন উদ্যোগ নিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউস আশা প্রকাশ করেছে, দু’দেশই পারস্পরিক সহযোগিতার পথে হাঁটবে। হোয়াইট হাউসের এক সূত্রের দাবি, বেজিঙের সঙ্গে বরফ গলানোর প্রক্রিয়া শুরু হলেও বেশ কয়েকটি বিষয়ে বেজিঙের প্রতি তাঁদের অবস্থান যে আগের মতোই থাকবে সে বার্তাও দিয়েছেন বাইডেন।
দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই টানাপড়েন অব্যাহত। বিশেষ করে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় দু’দেশের সম্পর্কে ফাটল আরও চওড়া হয়। করোনাভাইরাস, আগ্রাসনী বাণিজ্য নীতি, দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের ‘দাদাগিরি’, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা— সব মিলিয়ে চিনের সঙ্গে আমেরিকার একটা ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’ চলছিল। কিন্তু বাইডেন ক্ষমতায় আসার পরই বেজিঙের সঙ্গে সেই সম্পর্কের বরফ গলানোর কাজ শুরু দেয় ওয়াশিংটন। তবে তা কতটা ফলপ্রসূ হবে সে দিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।