Inca Civilization

Inca Civilization: গিঁট বাঁধা রঙিন সুতোর ‘হরফ’-এর রহস্য সমাধান, সামনে আসতে পারে ইনকাদের বহু অজানা তথ্য

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২১ ০৯:২৭
Share:
০১ ১৫

১৫ শতকের সবচেয়ে বড় সভ্যতা ছিল ইনকা। প্রযুক্তি এবং আভিজাত্য এই দুইয়ের মিশেল ছিল এই সভ্যতা। তাদের প্রযুক্তির ব্যবহারের নিদর্শন আজও বহন করে নিয়ে চলেছে মাচুপিচু শহর।

০২ ১৫

কিন্তু ইনকাদের সম্পর্কে একটি বিষয় এত দিন খুবই বিস্ময়ের ছিল। ইনকারা লিখতে জানতেন না। নিজেদের মধ্যে যে ভাষায় তাঁরা কথা বলতেন তা হরফে প্রকাশ করতে পারতেন না।

Advertisement
০৩ ১৫

সম্প্রতি ইনকাদের সম্পর্কে এই ধারণাটিই বদলে গিয়েছে। এক কলেজ ছাত্র তাঁর শিক্ষকের সাহায্যে ইনকাদের ভাষা কিংবা তথ্য প্রকাশের অদ্ভুত মাধ্যমের খোঁজ পেয়েছেন। নিজেদের যাবতীয় তথ্য তাঁরা নাকি হরফে না লিখে সুতোয় গিঁট বেঁধে প্রকাশ করতেন!

০৪ ১৫

কী রঙের সুতো, কতগুলি গিঁট দিচ্ছেন, দু’টি গিঁটের মধ্যে দূরত্ব কতটা— এ সব দেখেই তাঁরা বুঝে যেতেন কী তথ্য রয়েছে তাতে। ইনকা সভ্যতা থেকে এ রকম গিঁট বাঁধা দড়়ি কিংবা সুতোর খোঁজ আগেও পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এত দিন তার ভিতরে লুকিয়ে থাকা গোপন তথ্য বুঝে উঠতে পারেননি কেউ।

০৫ ১৫

পঞ্চদশ শতকের আমেরিকার সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্য ছিল ইনকাদেরই। ইকুয়েডর থেকে চিলি পর্যন্ত ৫ হাজার কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে ছিল এই সভ্যতা।

০৬ ১৫

এই ইনকারাই মাচুপিচু শহর গড়ে তুলেছিলেন। পাহাড়ের মাথায় মেঘ ভেদ করে আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে এই শহর। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তা, পাথর দিয়ে সাজানো উন্নত এই শহরে রয়েছে ঝুলন্ত সেতুও। এই শহর বানাতে যে প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হয়েছিল তা সত্যিই বিস্ময়কর। এত ভারী ভারী পাথর কী ভাবে তাঁরা পাহাড়ের মাথায় তুলেছিলেন আজকের দিনে দাঁড়িয়েও তা অবাক করে বিশেষজ্ঞদের।

০৭ ১৫

অথচ ইনকাদের সবচেয়ে বড় খামতি ছিল তাঁদের না লিখতে পারা। অন্যান্য সভ্যতার সম্বন্ধে জানার বড় সুবিধা যেখানে তাঁদের নিজস্ব হরফে লিখে রাখা বিভিন্ন তথ্য, লিখিত হরফ না থাকায় ইনকাদের সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা তাই অনেক কিছুই জেনে উঠতে পারছিলেন না।

০৮ ১৫

তাঁদের সমস্ত তথ্যের রেকর্ড রয়েছে গিঁট বাঁধা ওই রঙিন সুতোর মধ্যেই। যেগুলিকে ‘খিপু’ বলা হত। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ম্যানি মিড্রানো তাঁর শিক্ষক গ্যারির সাহায্যে এই রহস্যের সমাধান করে ফেলেছেন।

০৯ ১৫

তাঁরা উত্তরপশ্চিম পেরুর সান্টা নদীর উপত্যকা থেকে ৬ সেটের একটি খিপু উদ্ধার করেন। ওই এলাকার জনগণনা সংক্রান্ত একটি প্রাচীন বইও তাঁরা পড়তে শুরু করেন।

১০ ১৫

দু’জনের কাছেই এটা অত্যন্ত বিস্ময়ের ছিল যে, বইয়ে ওই সময়ে ওই এলাকার জনসংখ্যা, নারী-পুরুষ সংখ্যা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে যা যা তথ্য রয়েছে খুব ভাল ভাবে খিপুগুলিকে পর্যবেক্ষণ করলে বইয়ের তথ্যের সঙ্গে অনেক মিল পাওয়া যায়।

১১ ১৫

বিশেষজ্ঞদের অনুমান, খিপুগুলিকে আরও ভাল ভাবে পর্যবেক্ষণ করলে ইনকা সভ্যতা সম্পর্কে আরও অনেক অজানা তথ্যের সন্ধান মিলবে। তাঁদের জীবনযাত্রার অনেক দিক উন্মোচিত হবে।

১২ ১৫

ইনকা সভ্যতা বরাবরই বিস্মিত করে আমাদের। পাহাড়ের মাথায় ইনকার মাচুপিচু শহর একটি বিস্ময়।

১৩ ১৫

পেরুর মাচুপিচু শহরে গড়ে উঠতে শুরু করে ১৪৫০ সাল নাগাদ। রাজা পাচাকিউটেক ইনকা ইউপানকুই নিজের বসবাসের জন্যই এই শহর গড়ে তুলেছিলেন।

১৪ ১৫

তবে খুব বেশি দিন এই শহর স্থায়ী হয়নি। ৮০ বছর ব্যবহারের পর এ শহর পরিত্যক্ত হয়ে যায়। জানা যায়, মাচুপিচুর সমস্ত বাসিন্দা গুটি বসন্তে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সে সময় মহামারির আকার নিয়েছিল গুটি বসন্ত।

১৫ ১৫

মাচুপিচুর উচ্চতা ছিল ৭ হাজার ৯৭০ ফুট। মাচুপিচুর আগে গড়ে ওঠা ইনকাদের আরও একটি শহরের খোঁজ মিলেছে পরবর্তীকালে। আন্দিজ পর্বতের ১৩ হাজার ফুট উঁচুতে এই শহর গড়ে তুলেছিল ইনকারা। এত উঁচুতে কী ভাবে মানুষ বসবাস করতেন সেটাও ভাবায় ইতিহাসবিদদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement