প্রতীকী ছবি।
অতিমারি পরিস্থিতিতে করোনা প্রতিষেধকের উপর থেকে স্বত্ব তুলে নেওয়ার জন্য ভারতের দাবিকে বুধবার সমর্থন জানিয়েছিল আমেরিকা। সেই
ঘটনার পরে ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। গত কাল আমেরিকার অবস্থানের তীব্র আপত্তি জানিয়েছে জার্মানি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে জো বাইডেন আসীন হওয়ার পরে এই প্রথম বার কোনও বিষয়ে মতানৈক্য দেখা দিল আর্থিক ভাবে সমৃদ্ধ দুই দেশের মধ্যে।
জার্মানির আপত্তির পরেই বিষয়টির ফয়সালার জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লুউটিও) ভূমিকা হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে সার্বিক ঐক্য প্রতিষ্ঠিত না-হলে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ক্রমশ পিছিয়ে পড়বে উন্নয়নশীল দেশগুলি। যা গোটা বিশ্ব থেকে এই মারণ ভাইরাসকে নির্মূলের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল ভারতের তরফে বারেবারেই প্রতিষেধকের উপর থেকে স্বত্ব তুলে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে, যাতে বিশ্ব জুড়ে স্থানীয় নির্মাতারা টিকার উৎপাদন বাড়াতে পারে, সংক্রমণ রোখা সম্ভব হয়। সংক্রমণ বাড়ছে নেপাল, শ্রীলঙ্কার মতো ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিতেও।
ইতিমধ্যেই ধনী দেশগুলি টিকা মজুত করার অভিযোগে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে। যা গরিব দেশগুলিতে গণটিকাকরণ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করছে। জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, মেধাস্বত্বের সুরক্ষা উদ্ভাবনের উৎস। ভবিষ্যতেও তা বজায় থাকা প্রয়োজন। জার্মানির মনোভাবের সঙ্গে তাল মিলিয়েছে ফার্মাসিউক্যাল সংস্থাগুলিও। ফাইজ়ারের সিইও আলবার্ট বোরলা প্রতিষেধকের উপর থেকে স্বত্ব তুলে নেওয়ার বিরোধিতা করে জানিয়েছেন, করোনার প্রতিষেধক উৎপাদন বিঘ্নিত হওয়ার জন্য মেধাস্বত্বই প্রধান নয়।
এর আগে চাপের মুখে আমেরিকার বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথরিন তাই জানিয়েছিলেন, প্রতিষেধকের স্বত্ব তুলে নেওয়াকে তাঁরা সমর্থন করছেন। সমর্থন জানিয়েছিলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রধান টেড্রম অ্যাডানম গ্যাব্রিয়েসাস। তাঁর বক্তব্য, আমেরিকার এই অবস্থান ঐতিহাসিক। রাশিয়াও সমর্থন জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন অবশ্য এই প্রস্তাবে আলোচনার পথে হাঁটারই পক্ষপাতী।