australia

করোনাকে জৈব অস্ত্র বানানোর ছক ২০১৫ সালে! চিনা নথি নিয়ে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রবার্ট পটার জানান, ‘‘চিনা নথি ভুয়ো নয়। কিন্তু তাতে যা লেখা আছে, তা কতটা গুরুতর, গবেষকদেরই দেখতে হবে।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ক্যানবেরা (অস্ট্রেলিয়া) শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২১ ২২:৫৫
Share:

করোনাভাইরাস প্রতীকী চিত্র

সার্স করোনাভাইরাসকে ‘জৈব’ অস্ত্ররূপে গড়ে নেওয়ার পরিকল্পনা বছর পাঁচেক আগেই হয়েছিল। ফাঁস হওয়া একটি চিনা নথিতে মিলেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই নথিই হাতে আসে সাপ্তাহিক সংবাদ পত্রিকা ‘উইকেন্ড অস্ট্রেলিয়া’-র। নথির তথ্য তুলে ধরে তাদের বক্তব্য, অতিমারির আগে ২০১৫ সালেই গোটা পরিকল্পনা করে ফেলেছিলেন চিনের সামরিক বিজ্ঞানীরা। সার্স করোনাভাইরাস আদতে এক নতুন ধরনের ‘জেনেটিক অস্ত্র’, যাকে কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় মারণ ভাইরাসে রূপান্তরিত করা সম্ভব।

Advertisement

ফাঁস হওয়া চিনা নথি ভুয়ো কি না, তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রবার্ট পটারকে। তিনি জানান, ‘‘ওই চিনা নথি একেবারেই ভুয়ো নয়। কিন্তু এতে যা লেখা রয়েছে, তা গবেষকদেরই বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে, বিষয়টি কতটা গুরুতর।’’

Advertisement

‘উইকেন্ড অস্ট্রেলিয়া’ জানাচ্ছে, ওই চিনা নথির নাম ‘দ্য আনন্যাচারাল অরিজিন অব সার্স অ্যান্ড নিউ স্পিসিস অব ম্যান-মেড ভাইরাসেস অ্যাজ জেনেটিক বায়োওয়েপন’। সেখানে চিনা গবেষকদের অনুমান, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে লড়াই হবে ‘জৈব অস্ত্র’ দিয়ে, আর সেই কারণেই সার্স করোনাভাইরাসকে মারণ ভাইরাস হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছিল চিন। এ বিষয়ে ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট’-এর এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর পিটার জেনিংস বলেন, ‘‘নথি থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, করোনাভাইরাসের বিভিন্ন প্রজাতিকে কী ভাবে অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগানো যায়, সে ব্যাপারেই গবেষণা করছিলেন চিনা গবেষকরা।’’ তাঁর বক্তব্য, করোনাভাইরাসের উৎপত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণায় এই কারণেই বিশেষ উৎসাহ দেখায়নি চিন। তাঁর কথায়, ‘‘এই ভাইরাস যদি বাজার থেকে ছড়াত, সে ক্ষেত্রে চিনও এই ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে আগ্রহী হত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement