আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যেই এ বার সেখানে পড়তে যাওয়া নিয়ে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষাবিদদের সতর্ক করল চিন সরকার। বর্তমানে দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক কার্যত তলানিতে। তার মধ্যে দক্ষিণ চিন সাগর এবং তাইওয়ানে আমেরিকার হস্তক্ষেপ নিয়ে সিঙ্গাপুরে শাংগ্রি লা সম্মেলনে প্রবল ক্ষোভ জানিয়েছেন চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেংহে। এই পরিস্থিতিতে আজ চিনের শিক্ষা মন্ত্রক সরকারি টিভি চ্যানেলে জানিয়েছে, মার্কিন মুলুকে পড়াশোনা করতে গেলে নতুন বাধার মুখোমুখি হতে হচ্ছে দেশের ছাত্রছাত্রীদের। কখনও তাঁদের ভিসার মেয়াদ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কখনও আবার ভিসার আবেদনই খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রকের বার্তায় আরও বলা হয়েছে, এর ফলে চিনা পড়ুয়াদের আমেরিকায় পাঠ্যক্রম শেষ করতে প্রবল সমস্যা হচ্ছে। শুধু ছাত্রছাত্রীই নয়, বিভিন্ন চিনা শিক্ষাবিদের সঙ্গেও মার্কিন অভিবাসন দফতর সম্প্রতি একই আচরণ করেছে বলে অভিযোগ চিন সরকারের।
এর ফলে ভবিষ্যতে যাঁরা আমেরিকায় গিয়ে পড়াশোনার কথা ভাবছেন, তাঁরা যেন বিকল্প ব্যবস্থা ভেবে রাখেন, সতর্ক বার্তায় সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছে চিনের শিক্ষা মন্ত্রক। বর্তমানে সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি চিনা পড়ুয়া আমেরিকায় পড়াশোনা করছেন। তা থেকে মার্কিন প্রশাসনের আয় হয় প্রায় চোদ্দোশো কোটি ডলার। চিনের সরকারি দৈনিক গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদক হু শিচিন টুইটারে অভিযোগ করেছেন, বেছে বেছে চিনা পড়ুয়া আর শিক্ষাবিদদের সঙ্গেই এমন আচরণ করছে মার্কিন প্রশাসন। তাঁর আরও বক্তব্য, চিনের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য যুদ্ধের খেসারত দিতে হচ্ছে এই সব পড়ুয়াকে।
চিনা সেনার ‘স্পনসর’ করা কোনও পড়ুয়া আমেরিকায় পড়তে যাওয়ার ভিসা যাতে না পান, গত মাসেই মার্কিন কংগ্রেসে সেই সংক্রান্ত একটি আইন এনেছেন রিপাবলিকানেরা। তাঁদের দাবি, এই সব পড়ুয়ার মাধ্যমেই আমেরিকার গোপন গোয়েন্দা তথ্য চিনে পাচারের ব্যবস্থা করে থাকে চিনা সেনা। যদিও এই অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করে এসেছে বেজিং।