তাইপেই বিমানবন্দরে পেলোসি। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
দক্ষিণ চিন সাগর এড়িয়ে তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেইয়ের শোংসান বিমানবন্দরে পৌঁছলেন ন্যান্সি পেলোসি। আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার এবং তাঁর সফরসঙ্গীদের বিমান অবতরণের সময় বিমানবন্দরের আলো কমিয়ে দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। ঘটনাচক্রে, সে সময়ই তাইওয়ানের আকাশসীমার কাছে চিনা যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি নজরে আসে। তাই নিরাপত্তার কারণেই এমনটা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্য়ে একাধিক পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের দাবি, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে ‘সুনির্দিষ্ট সামরিক অভিযান’ শুরু করতে চলেছে শি জিনপিং সরকার।
প্রচারিত একটি ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, অন্ধকারে ঘেরা তাইপেই বিমানবন্দরে টর্চ জ্বালিয়ে পেলোসি এবং তাঁর সঙ্গীদের স্বাগত জানাচ্ছেন তাইওয়ান সরকারের প্রতিনিধিরা। স্থানীয় সময় সাড়ে ১০টা নাগাদ (ভারতীয় সময় রাত ৮টার কিছু পর) তাইওয়ানে অবতরণের পর একগুচ্ছ টুইট করেন পেলোসি। তিনি লেখেন, ‘তাইওয়ানের মজবুত গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান ও সমর্থন জানাতে আমেরিকা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই আমাদের প্রতিনিধিদলের এই সফর। মুক্ত এবং উদার ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গঠনের লক্ষ্যে তাইওয়ানের প্রতি সমর্থন জানাতেই তাদের নেতৃত্বের সঙ্গে আমরা আলোচনা করব।’
চিনা হুমকির প্রেক্ষিতে পেলোসির সফরের আগেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্রিয় হয় আমেরিকার নৌ এবং বায়ুসেনা। মঙ্গলবার রাতে মালয়েশিয়া থেকে তাইপেইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন পেলোসি-সহ আমেরিকার কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলের সদস্যেরা। তাঁদের সুরক্ষা জাপানের বিমানঘাঁটি থেকে উড়ে তাইওয়ানের আকাশসীমায় পৌঁছয় আমেরিকার বিমানবাহিনীর ফাইটার জেটের একটি স্কোয়াড্রন।
পাশাপাশি, পেলোসির সফরের আগে তাইওয়ানের জলসীমার অভিমুখে রওনা দেয় আমেরিকার চারটি যুদ্ধজাহাজও। এই তালিকায় রয়েছে, জাপানে মোতায়েন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস রোনাল্ড রেগন। সেই সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ক্রুজার ইউএসএস অ্যান্টিয়েটাম, ডেস্ট্রয়ার গোত্রের রণতরী ইউএসএস হিগিন্স এবং দ্রুত সেনা অবতরণের উপযোগী রণতরী ইউএসএস ত্রিপোলিও দক্ষিণ চিন সাগরের কাছে পৌঁছয়। যদিও পেলোসি চিনের জলসীমা ঘেঁষা দক্ষিণ চিন সাগরের পূর্ব উপকূল পরিহার করে আন্তর্জাতিক জলসীমা দিয়ে পশ্চিম তাইওয়ানের অর্কিড দ্বীপ হয়ে তাইপেই পৌঁছন বলে একটি সূত্রের দাবি।